চিন ও আমেরিকার মধ্যে চলা টানাপোড়েন নতুন মোড় নিল বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে। এই দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির শুল্কযুদ্ধের জেরে বাতিল হয়ে গেল মার্কিন বিমান নির্মাতা বোয়িং-এর একটি বড় চুক্তি। সূত্রের দাবি, হোয়াইট হাউস ও বেজিংয়ের মধ্যে চলা মনোমালিন্যের ফলেই চিন ফেরত পাঠিয়েছে বোয়িং-এর সরবরাহ করা কয়েকটি বিমান।
বিশ্বের অন্যতম বড় বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া না জানালেও, দুই দেশের প্রশাসনও বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেনি।
তবে ঠিক এখানেই ‘গুড়ে বালি’ নয়, ‘গুড়ে লাভ’ দেখছে ভারত!
সূত্রের খবর, চিন ফেরত পাঠানো সেই বোয়িং বিমানগুলি কিনতে আগ্রহ দেখাতে পারে এয়ার ইন্ডিয়া। দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে আরও বিমান পরিষেবা চালু করতে চাইছে সংস্থাটি। কিন্তু পর্যাপ্ত সংখ্যক বিমান না থাকায় বাধা পাচ্ছে সেই পরিকল্পনা। সেই ঘাটতি মেটাতে এবার বোয়িং-এর দ্বারস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের।
তবে শুধু ভারতই নয়, এই সুযোগে আগ্রহ দেখিয়েছে মালয়েশিয়ার একটি বিমান পরিষেবা সংস্থাও। অর্থাৎ, চিন-আমেরিকার সংঘাতে ফাঁক গলে নিজের লাভের জায়গা খুঁজছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।
এখন দেখার, এই ‘অপ্রত্যাশিত অফার’-এর দৌড়ে শেষমেশ এগিয়ে থাকে কে—এয়ার ইন্ডিয়া, না মালয়েশীয় সংস্থা?
এফপি/টিএ