বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, তার বক্তব্য প্রায়ই বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়। তিনি জানান, “সম্প্রতি আমি লক্ষ্য করছি, আমার বক্তব্য দিলেই কিছু দেশীয় সাংবাদিক তা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে উপস্থাপন করেন। এমনকি বিদেশে থাকা কিছু সাংবাদিকও আছেন, যাদের আচরণ দেখে মনে হয় তারা সরকারেরই লোক। আমি তাদের ‘সরকারি সাংবাদিক’ বলছি, কারণ সরকার চাইলে তাদের দলে নিতে পারতো—সেখানে ভুল করেছে।”
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, তার বক্তব্যের কাটপিস করে এমনভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করা হয় যাতে মানুষ বিভ্রান্ত হয় এবং তাকে ভুল বোঝে। তিনি বলেন, “এজন্য এখন বক্তব্য দিতে হলে খুব হিসাব করে দিতে হয়। এখন আমি কথা বললেই বলা হয়, আব্বাস তো সংস্কারের বিরুদ্ধে কথা বলছে, সংস্কার চায় না। আরে ভাই, না! আমাদের দেশের মানুষের স্বার্থে, নির্বাচনের স্বার্থে, যেই সংস্কারটা প্রয়োজন, আমরা সেই সংস্কারটাই চাই। কিন্তু আমি একদিন বলেছিলাম, আপনারা যেগুলো বলছেন সব সংস্কার তো মানা যাবে না—এই কথাটাকে টুইস্ট করে কিছু প্রবাসী সাংবাদিক প্রচার করলেন, ‘বিএনপি সংস্কার চায় না, মির্জা আব্বাস সংস্কার চায় না।’”
তিনি আরও বলেন, “এমনকি সালমান রহমানের টাকা খেয়ে যার স্বাস্থ্য মোটা হয়েছে, এমন এক লোক প্রায়ই আমার বিরুদ্ধে কথা বলেন, ফেসবুকে লেখেন—‘কেন মানবেন না? আপনাদের কি স্টেক আছে? কেন আব্বাস সাহেবরে মানবেন না?’ আরে ভাই, তোমার যেমন বিদেশে পালিয়ে থেকে কথা বলার অধিকার আছে, আমার কি দেশে থেকে কথা বলার অধিকার নাই?”
আব্বাস বলেন, “আমি এই দেশে থেকে মৃত্যুদণ্ড মাথায় নিয়ে, জেল-জুলুম সহ্য করে রাজনীতি করছি। আমার সহকর্মীদের নিয়ে জেলখানায় থেকেছি, আমি পালিয়ে যাইনি। আর আপনারা বিদেশে বসে লম্বা লম্বা কথা বলেন, যাদের দেশের মাটিতে আসার কোনো ইচ্ছাই নেই।”
প্রবাসী ইউটিউবার ও সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা যারা বাইরে আছেন, আপনাদের প্রতি সম্মান রেখেই বলছি—ভাই, আমরা রাজনীতি ছেড়ে দেব। আপনি একটু দেশে আসেন। আপনাদের অনেক জ্ঞান, অনেক বুদ্ধি—সেই জ্ঞান-বুদ্ধি আমাদের প্রয়োজন। দয়া করে দেশে আসেন, বুদ্ধি দেন, কথা বলেন, কাজ করেন। আমরা মেনে নেব। কিন্তু না, দেশে আসবেন না—আর টিটকারি করবেন, সমালোচনা করবেন, অপপ্রচার চালাবেন—এসব তো গঠনমূলক কিছু না। মিথ্যা কথা বলবেন, কুকথা বলবেন, মানসিক চরিত্র হরণ করবেন—এসব কাজের নাম রাজনীতি না।”
তিনি সবশেষে বলেন, “এগুলো কোনো রকম গঠনমূলক কাজ না। দেশ ও জনগণের স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।”
আরএ/টিএ