গরমের তীব্রতায় ত্বকে নানা সমস্যা শুরু হয়ে যায়, যার মধ্যে ব্রণ আর ঘামাচি অন্যতম। শরীরে ঘামের কারণে একাধিক অস্বস্তিকর সমস্যা সৃষ্টি হয়, যা সাধারণত বাজারের পাউডার বা সাবান দিয়ে সাময়িকভাবে কমানো যায়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব পণ্যের রাসায়নিক উপাদান ত্বকের ক্ষতি আরও বাড়িয়ে দেয়। ঘামাচির প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে আমলকি হতে পারে আপনার ত্বকের শ্রেষ্ঠ বন্ধু।
চলুন, জেনে নিই।
আমলকি শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না, এটি ত্বকের যত্নেও দুর্দান্ত। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
গবেষণা বলছে, আমলকি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, দাগ কমায় ও সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে সুরক্ষা দেয়।
আমলকি ও দইয়ের প্যাক
২ চা চামচ আমলকি গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। মুখে মেখে ১৫–২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা রাখে ও ব্রণের দাগ হালকা করে।
আমলকি টোনার
এক কাপ পানিতে ১ চা চামচ আমলকি পাউডার দিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে কাচের বোতলে ভরে রাখুন। রোদে বেরোনোর আগে মুখে স্প্রে করুন। এতে ত্বকের র্যাশ কমবে।
কাঁচা আমলকি ও অ্যালোভেরা মিশ্রণ
২টি কাঁচা আমলকি বেটে নিয়ে তার সঙ্গে ২ চা চামচ অ্যালোভেরা জেল মেশান।
মুখ বা হাতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে ঘামাচি ও র্যাশের সমস্যা কমবে।
আমলকি ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
১ চা চামচ আমলকি পাউডারের সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচে
দাগ ও রোদের পোড়া ভাব দূর হবে।
পেঁপে-আমলকি মিশ্রণ
পেঁপে ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। এর সঙ্গে আমলকি মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে সপ্তাহে ২-৩ দিন মুখে ব্যবহার করুন। এতে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগহীন।
আরএম/টিএ