সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ডা. তাসনিম জারাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই চিকিৎসক ও সমাজকর্মী শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাতে একটি বিস্তারিত বিবৃতি দিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমে।
বিবৃতিতে ডা. জারা বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে আমার ছবিসহ একটি আইনি নোটিশ গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, যেখানে একটি ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক অভিযোগ করা হয়েছে যে আমি ‘পর্নোগ্রাফিক সংস্কৃতি’ প্রচার করছি।”
তিনি জানান, “এত ভিত্তিহীন কিছুর প্রতিবাদ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু চুপ থাকলে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, তাই কথা বলছি।”
‘নাম কলুষিত করার পুরোনো কৌশল’ বলে উল্লেখ করে ডা. জারা বলেন, “যখন আপনি খোলা মন নিয়ে জনজীবনে প্রবেশ করেন, তখন আশা করেন যুক্তির লড়াই হবে। কিন্তু তার আগেই আপনার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা করা হয়। এটি মনোযোগ সরানো, লজ্জা দেওয়ার পুরোনো পদ্ধতি।”
নিজের দীর্ঘদিনের জনস্বাস্থ্য কার্যক্রম ও সচেতনতা তৈরির কাজের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমি ভুয়া পেজ, ভেজাল ওষুধের বিরুদ্ধে সরব থেকেছি। যারা আজ এসব বিকৃত করছে, তারা ভুলে গেলেও সাধারণ মানুষ তা ভুলে যায়নি।”
ডা. জারা আরও বলেন, “আমি জানতাম এই পথ সহজ হবে না, জানতাম নোংরা পরিস্থিতিও আসবে। কিন্তু বিশ্বাস ছিল— সততা, শালীনতা আর সাহস নিয়ে ভিন্নভাবে রাজনীতি করা সম্ভব।”
শেষ কথায় তাঁর স্পষ্ট বার্তা:
“আমি পিছপা হব না, লুকাব না, আপনাদের ফাঁদে পা দেব না। বরং এই অবস্থান আমার সংকল্পকে আরও দৃঢ় করেছে। কারণ যখন মিথ্যাই অবশিষ্ট থাকে, এর মানে হলো আপনার সত্য ইতোমধ্যে যুক্তিতে জিতেছে।”
বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, “তাদের কথা বলতে দিন। আমি আমার কাজ চালিয়ে যাব।”
এসএস