বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্টদূত ইয়াও ওয়েন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় একটি আমবাগান পরিদর্শন করে আম আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
গতকাল সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ২টার দিকে তিনি নাচোল পৌঁছে ফতেপুর ইউনিয়নের কেন্দুয়া ঘাসুড়া গ্রামে স্থানীয় আম উৎপাদন এবং রপ্তানিকারক রফিকুল ইসলামের বাগান পরিদর্শনে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩০০ বিঘা আয়তনের অতি ঘন গাছে আম উৎপাদন (আল্ট্রা হাই ডেনসিটি) পদ্ধতির এই বাগানে লেট ভ্যারাইটির বারি আম-৪, গৌড়মতি, ব্যানানা, বারমাসি কাটিমন, আম্রপালিসহ প্রায় ২৫ রকম আম উৎপাদিত হয়। কয়েক বছর যাবৎ উৎপাদক রফিকুল ইসলাম তার কয়েকজন ব্যাবসায়িক সহযোগী নিয়ে ‘ফার্মি এগ্রো’ ব্র্যান্ড নামে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে প্রায় এক হাজার বিঘা জমিতে উৎপাদিত আম রপ্তানি করছেন।
পরিদর্শনকালে রাষ্ট্রদূত জানান, বাগানে কিভাবে আম উৎপাদন হয় তার বাস্তব অবস্থা দেখতে তিনি এসেছেন। উৎপাদনের সার্বিক দিক জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তাকে কাটিমন জাতের পাকা আম কেটে খাওয়ানো হলে তিনি প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ থেকে চীনে আম নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে চীনে আম রপ্তানি শুরু হবে।
বাংলাদেশের আম প্রক্রিয়াজাত নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বিমানে রপ্তানি খরচ বেশি হওয়ায় জাহাজে আম নেওয়া যায় কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’
রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী, দূতাবাস কর্মকর্তারা এবং একজন চীনা আমদানিকারক সফরকালে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন। তাকে অভ্যর্থনা জানান নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলুফা সরকার, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. ইয়াছিন আলী, অতিরিক্ত উপপরিচালক এম. ওয়াহেদুজ্জামান, নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সলেহ আকরাম, সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম, উৎপাদক রফিকুল ইসলাম এবং স্থানীয় অন্যান্য আম উৎপাদক ও বাগানীরা। বিকেল ৩টার দিকে রাষ্টদূত নাচোল ত্যাগ করেন।
আরআর/এসএন