‘দলগুলোর ভিন্নমত থাকলেও সবার লক্ষ্য এক’

গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের পথরেখা তৈরিতে সবার লক্ষ্য এক, অভিন্ন। দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও অনেক বিষয়ে একমত হওয়ার আশা রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, মিহির ঘোষ, অধ্যাপিকা এ এন রাশেদা, কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, কাজী রুহুল আমিন, রাগিব আহসান মুন্না, সাজেদুল হক রুবেল, আবিদ হোসেন ও অধ্যাপক ফজলুর রহমান ছিলেন প্রতিনিধি দলে। অন্যদিকে ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, বিচারপতি এমদাদুল হক, বিশেষ সহকারী মনির হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিরাজমান প্রেক্ষাপটে সিপিবির ভূমিকার প্রশংসা করে ঐকমত্য কমিশনের সহ সভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, আজকে রাষ্ট্র কাঠামোর পুনর্গঠন, পুনর্বিন্যাসের জন্য যে আলোচনা, সংস্কারের জন্য যে আলোচনা আপনাদের দীর্ঘদিনের সংগ্রামের একটা অংশ। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র গঠনের পথ তৈরি করতে ঐকমত্য কমিশন চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের লক্ষ্য হচ্ছে জাতীয় সনদ। যার মাধ্যমে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের পথরেখা তৈরি হবে, তার একটা ধারণা পেতে পারি, একটা পথ চিহ্নিত করতে পারি। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছি।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার কথা তুলে ধরে আলী রীয়াজ বলেন, আলোচনার টেবিলে দুই পাশে বসলেও সবার লক্ষ্য এক। যে লক্ষ্যে সিপিবি দীর্ঘদিন যাবত দল হিসেবে সংগ্রাম করেছে, তারই ধারাবাহিকতা।

ফলে আজকের এ আলোচনার মধ্য দিয়ে আলোচনা শেষ হবে তা ভাবার কারণ নেই। এখন কাঠামোগত পরিবর্তনগুলো আরও সুনির্দিষ্ট করা এবং তা বাস্তবায়নের পথ তৈরি করা আমাদের কাজ। ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরাস্ত করা বিজয়ের এক ধাপ মাত্র। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা, ক্ষমতা, সমতা নিশ্চিত, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা দীর্ঘমেয়াদি সংগ্রামেরই অংশ।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকবে, অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতে পারব।

এসএম/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাতে বাধা দেবে না হকি ইন্ডিয়া Nov 06, 2025
img
প্রশ্ন করবেন না, সব বলে দেবো : পরীমণি Nov 06, 2025
img
সৌদির পর এবার কাতারের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করতে চায় পাকিস্তান Nov 06, 2025
img
আজকের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার দাম Nov 06, 2025
img
গ্যাং লিডার থেকে বিএনপির প্রচারণায়, কে এই বাবলা? Nov 06, 2025
img
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় জোহরান মামদানির Nov 06, 2025
img
ইয়ামালের দৃষ্টিনন্দন গোলের পরও জয়বঞ্চিত বার্সেলোনা Nov 06, 2025
img
ন্যাটোকে হারানো অসম্ভব, কেউ আক্রমণের সাহস করবে না: রুটে Nov 06, 2025
img
রাশিয়া-চীনকে নিয়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা Nov 06, 2025
img
ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী কাজী এনায়েত উল্লাহ Nov 06, 2025
img
বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের এনসিপিতে স্বাগত জানালেন হাসনাত আবদুল্লাহ Nov 06, 2025
img
বরিশালে ৩১ কোটি টাকার অবৈধ জাল জব্দ Nov 06, 2025
img
ডিমের সঙ্গে আরো কী খেলে বাড়বে পুষ্টিগুণ Nov 06, 2025
img
যুক্তরাষ্ট্রে কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ১১ Nov 06, 2025
img
দুর্নীতি ও অনিয়মে তিন প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান Nov 06, 2025
img
কাজের চাপ কমাতে ১০ রোগীকে হত্যা, জার্মান নার্সের আমৃত্যু কারাদণ্ড Nov 06, 2025
img
আজ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে ঢাকার আকাশ Nov 06, 2025
img
পরিমিত ক্যাফেইন উপকারী, অতিরিক্ত বিপজ্জনক Nov 06, 2025
img
হাসপাতালে ভর্তি জিতু কামাল Nov 06, 2025
img
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ১৮৪ অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের আটক Nov 06, 2025