কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেন ১৩টি বগি রেল ব্রিজের ওপর রেখেই চলে যায় ইঞ্জিন। এর প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টা পর রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার করায় ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
নেত্রকোণা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রেল ব্রিজে আটকে পড়া বগিগুলো ময়মনসিংহ থেকে একটি রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার করেছে। এতে করে ময়মনসিংহ-মোহনগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। উদ্ধারের পর রাত ১১টা ৩৫ নাগাদ ট্রেনটি মোহনগঞ্জের উদ্দেশ্যে নেত্রকোণা স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।
এর আগে শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানান, ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি নেত্রকোণা সদরের চল্লিশ এলাকায় এসে, রেল ব্রিজে ওঠার পর হঠাৎ একটি শব্দ এবং ঝাঁকুনি তারা অনুভব করেন। পরবর্তীতে ট্রেনের গতি আস্তে আস্তে কমতে থাকে এবং এক সময় স্থির হয়ে যায়। পরে তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ট্রেনের ইঞ্জিন দাঁড়িয়ে থাকা বগিগুলো রেখে চলে গেছে।
যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ইঞ্জিন বগি রেখে চলে যাওয়ার প্রায় তিন ঘণ্টা হতে চলল, কিন্তু এখন পর্যন্ত রিলিফ ট্রেন আসার কোনো খবর নেই। এখানে এমন একটা জায়গায় আমরা আটকে আছি যেখানে আমরা ট্রেন থেকে নামতেও পারছি না, কোথাও যেতেও পারছি না। অন্ধকারের মধ্যে এভাবে বসে থাকতে তারা অনিরাপদ বোধ করেছি।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক জাহিদ হোসেন সাঈদ জানিয়েছিলেন, দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেত্রকোণা সদরের চল্লিশা এলাকায় এলে রেল ব্রিজে ওঠার পর হঠাৎ ট্রেনের প্রথম বগির বাফার সেল ভেঙে ১৩টি বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
আরআর