হজের স্বপ্ন পূরণে ৪০ বছর ধরে সঞ্চয় করেছেন ইন্দোনেশীয় এক দম্পতি। অবশেষে ২০২৫ সালে স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে তাদের। এ বছর হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তারা।
তাদের এই যাত্রা সহজ হয়েছে 'মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ' নামের একটি কর্মসূচির মাধ্যমে, যা ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের হাজিদের জন্য হজযাত্রাকে সহজ করতে কাজ করে।
লেগিমান নামের ওই ব্যক্তি একজন পরিচ্ছন্নকর্মী। তার স্ত্রী ১৯৮৬ সাল থেকে হজের জন্য টাকা জমাতে শুরু করেছিলেন। আর্থিক টানাপোড়েন ও সাদামাটা জীবনের মধ্যেও তারা হজের স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। অবশেষে তাদের কয়েক বছরের প্রচেষ্টা সফল হয় এ বছর হজের জন্য নিবন্ধন করার মাধ্যমে।
লেগিমান সৌদি প্রেস এজেন্সিকে (এসপিএ) বলেন, হজের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে, এই আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি কখনো ভাবিনি, নিজ চোখে পবিত্র কাবা শরীফ দেখতে পাবো। আমি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ, আর ধন্যবাদ জানাই মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের সঙ্গে জড়িত সকলকে, তাদের কারণে এই প্রক্রিয়াটি খুবই সহজ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
'মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ' এমন একটি কর্মসূচি যা হাজিদের নিজ দেশেই বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন, ইলেকট্রনিক ভিসা প্রসেসিং এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুযোগ দেয়। ফলে সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর তারা অপেক্ষাকৃত কম সময়ের মধ্যেই হজ শুরু করতে পারেন।
চলতি বছর ৪ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে চূড়ান্ত দিন নির্ধারিত হবে। ইসলামি চন্দ্র মাসের হিসাব অনুযায়ী, হজের কার্যক্রম ৮ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত চলমান থাকে।
হাজিরা প্রথম দিন মিনায় যান, পরদিন আরাফাত ময়দানে অবস্থান করেন, এরপর পরের দিনে শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ ও কোরবানি করেন এবং তাওয়াফের মাধ্যমে হজ শেষ করেন।
হজ এমন একটি ইবাদত যা শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে অন্তত একবার পালন করা ফরজ। লেগিমান ও তার স্ত্রীর জন্য চলতি হজ মৌসুম দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণের মাইলফলক হতে চলেছে।
সূত্র : গালফ নিউজ, দ্য ইসলামিক ইনফরমেশন
আরএম/এসএন