হজ পালনকারী মুসল্লিদের জন্য চরম গরমের প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে ঠান্ডা ও রাবারযুক্ত রাস্তার ব্যবহার করেছে সৌদি আরব। খবর গালফ নিউজের।
সৌদি রাস্তা জেনারেল অথরিটির (আরজিএ) তথ্যে, ২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই উদ্যোগের মাধ্যমে মূলত আরাফাত, মুজদালিফা ও মিনা-সহ দীর্ঘ পথ চলার সময় মুসল্লিদের জন্য পরিবেশকে আরও সহনীয় করে তোলা হচ্ছে।
তারা আরও জানায়, এ বছর ঠান্ডা রাস্তার পরিমাণ ৮২% বৃদ্ধি পেয়ে শুধুমাত্র আরাফাত সমভূমিতেই ৮৪,০০০ বর্গমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে এই প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে।
এই ঠান্ডা রাস্তার পৃষ্ঠতলে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে যা সূর্যের আলো কম শোষণ করে, ফলে রাস্তার তাপমাত্রা প্রায় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কম থাকে। সকালে সূর্যরশ্মি প্রতিফলনের হারও ৩০–৪০% পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে গরমের তীব্রতা কমে যায় এবং হাঁটার সময় মুসল্লিদের আরাম হয়।
এছাড়াও, গত বছর চালু হওয়া 'ফ্লেক্সিবল রাবার রোডস' বা নমনীয় রাবার রাস্তার প্রকল্পটি ২০২৫ সালে ৩৩% সম্প্রসারিত হয়েছে। এই রাস্তাগুলোর পিচে রাবার মিশিয়ে তা তুলনামূলকভাবে নরম করা হয়, যা হাঁটার সময় পায়ে চাপ কমায় এবং পায়ের আঘাতের ঝুঁকি হ্রাস করে। বিশেষত বয়স্ক মুসল্লিদের কথা মাথায় রেখে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাদের হাঁটাচলা তুলনামূলকভাবে বেশি কষ্টকর।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এবারের হজে অর্ধেকেরও বেশি মুসল্লি বয়স্ক হওয়ায় এই পদক্ষেপ তাদের চলাচলে স্বস্তি এনে দেবে।
উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের জুন মাসের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া হজ হবে গ্রীষ্মকালীন তীব্র তাপমাত্রায় শেষ হজ। ২০২৬ সাল থেকে হিজরি চান্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রভাবে হজ ধীরে ধীরে বসন্ত ও শীত মৌসুমে অনুষ্ঠিত হবে, যার ফলে মুসল্লিদের জন্য আরও আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
এফপি/এসএন