টলিউডের জগত এখন গুঞ্জনে ভরপুর — প্রসঙ্গটি পরিচালক ভেনু এলডান্ডির পরবর্তী ছবি ‘ইয়েল্লাম্মা’ নিয়ে। আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন অভিনেত্রী কীর্তি সুরেশ। প্রশ্ন একটাই: এই নারী-কেন্দ্রিক, সংস্কৃতিমূলক ছবিতে কীর্তি থাকছেন কি না?
‘ইয়েল্লাম্মা’র সঙ্গে কীর্তির নাম জুড়ে যাওয়ার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ছবিটি তেলেঙ্গানার গ্রামীণ জীবনযাপনের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, ঠিক ‘বালাগম’র মতো। ‘দাসেরা’ উৎসবে কীর্তির তেলেঙ্গানার স্বকীয় টোন, বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এবং সংলাপ বলার ভঙ্গি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিল। এই নতুন ছবিতে ‘ইয়েল্লাম্মা’ চরিত্রটি সাহসী, জটিল এবং গ্রামীণ ইতিহাস ও নারীশক্তির এক অনন্য মিশ্রণ। এর ফলে এটি কীর্তির ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা ও পুরস্কারপ্রাপ্ত পারফরম্যান্সের একটি বড় সুযোগ হতে পারে।
বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির অভিজাত একটি সূত্র জানাচ্ছে, 'ইয়েল্লাম্মা' চরিত্র যেন তেলেঙ্গানার মহাকাব্যিক নারীত্বের এক রূপক।"
কিন্তু সমস্যার কারণ সময়। বর্তমানে কীর্তি সুরেশ ব্যস্ত আছেন একাধিক ওয়েব সিরিজ, তামিল প্রোজেক্ট এবং একটি হিন্দি ছবিতে। কিছু রিপোর্ট বলছে, সময়ের অভাবের কারণে তিনি ‘ইয়েল্লাম্মা’র প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। প্রযোজক মহল এখনো বিষয়টি নিয়ে নিরব, হয়তো বিকল্প খুঁজছেন বা আগ্রহ ধরে রাখতে চাচ্ছেন।
যদি কীর্তি না থাকেন, তাহলে বিকল্প হিসেবে ভাবা হচ্ছে সাই পল্লবী, যিনি সংবেদনশীল অভিনয়ে পারদর্শী, ঐশ্বর্য রাজেশ, যিনি বাস্তবধর্মী নারী চরিত্রে সাবলীল এবং নিভেদা থমাস, যিনি মাটির গন্ধ মেশানো পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। অর্থাৎ, ‘ইয়েল্লম্মা’ ছবিতে যেই চরিত্রে অভিনয় করুক না কেন, চরিত্রের ভার যথেষ্ট শক্ত হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে।
শেষ পর্যন্ত, কীর্তি থাকুন বা না থাকুন — ‘ইয়েল্লম্মা’ ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে। যদি কীর্তি থাকেন, তবে এটি ‘মহানতি’র পর তার সবচেয়ে গভীর আঞ্চলিক চরিত্র হতে পারে। অন্যথায়, নতুন কোনো মুখ আসবে এবং এই ছবির খবর আরও আলোচনায় আসবে।
‘ইয়েল্লম্মা’ এখন শুধু একটি সিনেমা নয়, এটি তেলেঙ্গানার নারীত্ব, লোকগাথা এবং সংবেদনশীলতার এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি, যা সেলুলয়েডে নতুন অধ্যায় লেখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।