বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস-চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেছেন, “আপনারা আমাকে বিশ মিনিটের রাস্তা পার হলেই পাবেন। তবে এখানে যেন চুরি-চামারি না হয় এবং কেউ যেন নির্যাতিত না হয়—এই আশ্বাস আপনারা আমাকে দেবেন। কারণ, আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু আমরা নিজেরাই। সাধারণ চুরি-চামারির মধ্যে আমরা জড়িয়ে পড়ছি। আমরা যদি এসব থেকে বিরত থাকতে পারি, তাহলে কেউ আমাদের মাথা নিচু করতে পারবে না।”
শুক্রবার (৭ জুন) বিকেলে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট বাজার চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘ ১৮ বছর পর আমি রানীরহাটে এসে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পেলাম। এখানে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত আছে। কোথা থেকে বক্তব্য শুরু করব, তা খুঁজে পাচ্ছি না। বলতে গেলেই আবেগ চলে আসে। ছোটবেলা থেকে আপনাদের মাঝে এসেছি। এই ১৮ বছরে আমরা অনেককে হারিয়েছি। আমি আগে আসতাম আমার বড় ভাই শহীদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্বাচনি প্রচারণায়।
তখন যাদেরকে পেয়েছিলাম, তাদের মধ্যে কেউ আজ আর নেই, কেউ কেউ বৃদ্ধ হয়ে গেছেন। তাদের অবর্তমানে এখন তাদের সন্তানেরা আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ভাইয়েরা, দিনের পরিবর্তন হয়, কালের পরিবর্তন হয়, কিন্তু ঈমানের পরিবর্তন হয় না। আমি রাঙ্গুনিয়ায় এসে তা উপলব্ধি করেছি। এখানে অনেক স্রোত বয়ে গেলেও মানুষের ঈমানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। যারা সেখানে ছিল, আজও তারা সেখানেই আছে। আমাদের সবাইকে তাদের খোঁজ নিতে হবে এবং পাশে টানতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমি যখন রাঙ্গুনিয়ায় আসি, তখন শুনি—অমুক গ্রুপ, তমুক গ্রুপ। এই গ্রুপিং-ট্রুপিং আল্লাহর ওয়াস্তে বাদ দিয়ে দিন। আপনাদের যদি টিকে থাকতে হয় এবং ঈমানের সঙ্গে বাঁচতে হয়, তাহলে আপনাদের মধ্যে ঐক্য ও একতা থাকা দরকার। দোহাই লাগে, আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
আমার ভাতিজা হুম্মাম কাদের চৌধুরী আপনাদের মাঝে এসেছে। সে তরুণ, সবার পরিচিত নয়। তবে আমি হয়তো তার চেয়ে আপনাদের বেশি চিনি। আপনাদের দায়িত্ব, তাকে আপনাদের সন্তান হিসেবে বুকে টেনে নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য গড়ে তোলা।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউসুফ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় জিয়া মঞ্চের সহ-সভাপতি ওয়াকিল আহমদ তালুকদার, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি শাহেদ কামাল তালুকদার, অর্থ সম্পাদক ইউসুফ কামাল, আব্দুল গফুর খান, ইসলামপুরের সাবেক চেয়ারম্যান দিদারুল আলম জসিম, রাজানগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম সওদাগর, ইসলামপুর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান রনি, জাহেদুল আলম চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম তালুকদার, আনোয়ার হোসেন, আইয়ুব কুসুম, মাসুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন চৌধুরী, জাফর ইকবাল, জিয়ারু বিন চৌধুরী, ইউসুফ সাগর, নিজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট রাশেদ পারভেজ, জেলা ছাত্রদল নেতা রেজাউল করিম, মাসুদ শাকু, জিয়া মঞ্চ নেতা কাজী মহিউদ্দিন, রাজানগর যুবদলের সভাপতি আবু মনসুর, ইসলামপুর যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা খোরশেদ আলম, জেলা শ্রমিক দল নেতা ইসমাইল কোম্পানি, রাজানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস, আবুল হাসেম, ছাত্রদল নেতা জমির উদ্দিন ইমন, সাইদুর রিমন তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জসিম উদ্দিন লিটন, কামরুল ইসলাম পারভেজ, ইব্রাহিম, শ্রমিক দল নেতা রাশেদ মিয়া, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ কোম্পানি, মুহাম্মদ ফরিদ প্রমুখ।
এদিকে পথসভায় যোগ দেওয়ার আগে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রাজানগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বগাবিলি ৩নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আবুল কাশেম মেম্বারকে দেখতে যান।
আরএম