১৯৮০ সালে কুয়েতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাই এখন পর্যন্ত এশিয়ার ফুটবলে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার কৃতিত্ব বাংলাদেশের। হামজা-সামিতরা আসায় ফুটবলপ্রেমীরা আবারো এশিয়া কাপ খেলার স্বপ্নে বিভোর।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছে। আগামী পরশু খেলবে প্রথম হোম ম্যাচ। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে মিলিয়ে আরো চার ম্যাচ খেলবেন জামাল-হামজারা। গ্রুপের শেষ ম্যাচে হবে ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ। গ্রুপের চার দলের সবার ছয় ম্যাচ পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দল এশিয়া কাপে খেলার সুযোগ পাবে।
হামজা-জামালদের আগেই এশিয়া কাপ নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে আফিদা-ঋতুপর্ণাদের। ২৩ জুন - ৫ জুলাই নারী এশিয়ান কাপ বাছাই। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মিয়ানমার, বাহরাইন ও তুর্কেমেনিস্তান। বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেই প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার কৃত্তিত্ব অর্জন করবে।
মিয়ানমারে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্ততির জন্য বাংলাদেশ দল জর্ডানে দুই ম্যাচ খেলেছে। সেই ম্যাচ খেলে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফিদারা, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দু’টি দেশের সঙ্গে খেলেছি। দু’টি দলই আমাদের চেয়ে র্যাংকিংয়ে এবং শারীরিক শক্তিমত্তায় আমাদের চেয়ে এগিয়ে। দুই ম্যাচের ফলাফল এবং পারফরম্যান্স এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আমাদের প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম বাধা মিয়ানমার। বাংলাদেশ অধিনায়ক সেই বাধা অতিক্রম করার ব্যাপারে আশাবাদী,‘ তারা এমনিতে ভালো দল এবং স্বাগতিক হিসেবেও শক্তিশালী। আমরা তাদের সাথে লড়েই এশিয়ান কাপ খেলার আশা রাখছি। ’
পুরুষ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের গ্রুপের চার দলেরই সমান এক পয়েন্ট ও গোল ব্যবধান শূন্য। আগামী পরশু সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতলে টেবিলে শীর্ষস্থানে থাকা সম্ভব। বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়কের চাওয়া,‘টুর্নামেন্টের ফরম্যাট অনুযায়ী নারী এশিয়া কাপ বাছাই এক সপ্তাহের মধ্যেই দল উত্তীর্ণ হবে। আমরা ভালো খেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলে এশিয়া কাপ খেলতে পারব। আমরা চাই আমরা এবং হামজা-জামাল ভাইরাও একসঙ্গে এশিয়া কাপ খেলতে পারি। ’
আফিদার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল। দুই ম্যাচই বাংলাদেশ হেরেছিল। কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বিদ্রোহ করায় সিনিয়র ফুটবলাররা সেই দলে ছিলেন না। ঋতুপর্ণা, মনিকা, রুপ্না, শামসুন্নাহার ও মারিয়া জর্ডান সফরে খেলেছেন।
তারা আসায় খেলায় প্রভাব পড়েছে বলে জানান আফিদা, 'দুবাই সফরে দলে যারা ছিলেন প্রায় সবাই অ-২০ দলের। সিনিয়র পর্যায়ে অনেকেরই প্রথম সফর এবং ম্যাচ ছিল। জর্ডানে সিনিয়র দলের কয়েকজন থাকায় খেলার ধরন ও প্রভাবে পরিবর্তন হয়েছে।’
নারী দলের অধিনয়াক আফিদা খন্দকার নিজ জেলায় সাতক্ষীরায় ঈদ করেছেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে আজই ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে। আগামীকাল থেকে আবার অনুশীলন শুরু হবে। জর্ডান থেকে ফিরে কয়েকজন ফুটবলার বাড়ি গেলেও অনেকে যাওয়া-আসার ঝক্কি এড়াতে ক্যাম্পেই থেকেছেন। তাদের জন্য বাফুফে ঈদ উপহার দিয়েছিল।
কেএন/টিএ