তারেক রহমান ত্যাগী কর্মীদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন : মুন্না

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যুবদলের নেতাকর্মীরা জীবনবাজি রেখে সামনে থেকে লড়াই করেছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে সিলেটের যেসব সাহসী নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তারা আমাদের অহংকার। তাদের এই আত্মত্যাগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময় এই ত্যাগী ও সংগ্রামী নেতাকর্মীদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আজকের এই শুভেচ্ছা উপহার তারই প্রমাণ।

শনিবার (১৪ জুন) রাতে সিলেটের একটি হোটেলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীদের মাঝে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

যুবদল সভাপতি বলেন, আন্দোলনের সময় প্রতিদিন দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হতো। জুম মিটিংয়ে প্রতিদিনই মাঠপর্যায়ের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে দিকনির্দেশনা দেওয়া হতো। দলের সব স্তরে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা এগিয়েছি। এই আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যুবদল অতীতে যেমন সামনে ছিল, ভবিষ্যতেও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রতিটি ধাপে নেতৃত্বে থাকবে।

সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মির্জা মো. সম্রাট হোসেনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সিলেট মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহ নেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক।

সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন বলেন, সিলেটের রাজপথে আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে যুবদলের নেতাকর্মীরা সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছে। অনেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়েছেন। আজকের এই উপহার সেই ত্যাগের প্রতি দলের সম্মান ও শ্রদ্ধার প্রতীক।

অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা ও মহানগর যুবদলের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এবং গণঅভ্যুত্থানে আহত সাহসী যুবদল কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিরা গুলিবিদ্ধ নেতাকর্মীদের হাতে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।

আরআর 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সোমবার সচিবালয়ে কর্মচারীদের গণজমায়েত Jun 16, 2025
img
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো ইরান Jun 16, 2025
img
খামেনিকে হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনায় ট্রাম্পের ভেটো Jun 16, 2025
img
‘আলোচনা না করলে ভুলগুলো বেরিয়ে আসবে না’ Jun 16, 2025
img
বিএনপি ফাঁদে, তারেক রহমান ঝুঁকিতে : জিল্লুর রহমান Jun 15, 2025
img
২৩০০ কি.মি. দূর থেকে ইরানি বিমানে হামলা Jun 15, 2025
img
ঝিনাইদহে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলার অভিযোগ Jun 15, 2025
img
এবার বাংলাদেশের রিক্সা চলবে আমেরিকাতেও! Jun 15, 2025
মুজিব সিনেমা নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করলেন দর্শক Jun 15, 2025
শাকিবের বাসায় গোপন বৈঠক সিয়াম-রাজ-জোভান-তৌসিফের! Jun 15, 2025
যে অভিশাপে ৮০ বছরের বেশি টেকে না ইহুদী রাষ্ট্র! Jun 15, 2025
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে কাউকে হারুন-বেনজির হতে দেব না: নূর Jun 15, 2025
img
নারী ফুটবলে প্রবাসী নয়, স্থানীয়দের ওপরই আস্থা বাফুফের Jun 15, 2025
img
রাজশাহীতে করোনা আক্রান্তের হার বেড়ে ২৬ শতাংশ Jun 15, 2025
img
ইসরায়েলকে আরও কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের Jun 15, 2025
img
পরিবারসহ আওয়ামী লীগ নেতা পিকুলের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা Jun 15, 2025
img
কর্মীদের ভাতার পরিমাণ কমানোর সিদ্ধান্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের Jun 15, 2025
ইসরায়েলকে নিয়ে কোরআনের যে ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হলো Jun 15, 2025
বিএনপি বলেছে সবার আগে বাংলাদেশ, এখন দেখছি সবার আগে লন্ডন: সারোয়ার তুষার Jun 15, 2025
img
নীতির সঙ্গে মিল না হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে আসেন মোস্তফা মোহসীন : মির্জা ফখরুল Jun 15, 2025