এই শতাব্দীর সেরা ক্লাবগুলোর নাম নিলে বার্সেলোনাকে কোনোভাবেই এড়ানো সম্ভব নয়। এগিয়ে যেতে থাকলে এসি মিলান, লিভারপুল, আর্সেনাল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নামও এসে পড়বে। ফিফার নিয়মের মার-প্যাচে পড়ে এই দলগুলো ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না।
৩২ দল নিয়ে এবার প্রথম আয়োজিত হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অধীনে থাকা ৬টি কনফেডারেশন থেকেই অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছে ক্লাবগুলো। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় যারা মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, ২০২৫ ক্লাব বিশ্বকাপে তারা খেলবে অবধারিতভাবে।
সেই হিসেবে ২০২১ সালের চাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের জন্য চেলসি, ২০২৩ এর জন্য ম্যানচেস্টার সিটি এবং ২০২২ ও ২০২৪ এর জন্য রিয়াল মাদ্রিদ সরাসরি জায়গা করেছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে।
ইউরোপকে দেয়া হয়েছিল ১২টি স্লট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী তিন দল জায়গা করার পর বাকি ছিল আরও ৯টি স্লট। ক্লাব বিশ্বকাপে এই ৯টি দল জায়গা করেছে উয়েফার র্যাঙ্কিং সিস্টেম অনুযায়ী, যেখানে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে গত চার মৌসুমের পারফরম্যান্স। প্রতিটি দেশ থেকে দুটি দলের অংশ নেয়ার সুযোগ রাখা হয়েছিল।
স্পেন থেকে রিয়াল মাদ্রিদ যেহেতু সরাসরি জায়গা করেছে, তাই বাকি ছিল আর একটি স্লট। বার্সেলোনাকে পেছনে ফেলে যে জায়গাটি নিয়েছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
২০২২ ও ২০২৩ চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় বার্সা। ২০২১ সালে রাউন্ড অব সিক্সটিন এবং গেলো বছর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ব্লুগরানারা। সেখানে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ ২০২১ সালে বাদ পড়ে শেষ ষোলো থেকে। ২০২৩ সালে তারা গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও ২০২২ এবং ২০২৪ সালে খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।
ইংল্যান্ড থেকে টিকিট পেয়েছে চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটি। চেলসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে ২০২১ সালে, সিটি ২০২৩ সালে। যে কারণে আর্সেনাল এবং লিভারপুলের জায়গা হয়নি এই মেগা আসরে। উয়েফার চার বছরের র্যাঙ্কিং অনুসারে পিএসজি দ্বিতীয় সেরা আর ইন্টার মিলান চতুর্থ সেরা ক্লাব হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপে।
আরএম/টিএ