ঢাকাই সিনেমার দুই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী। ব্যক্তিজীবনে দুজনেই বিয়ে করেছিলেন ঢালিউড মেগাস্টার শাকিব খানকে। তবে কারো সঙ্গেই নায়কের সংসারজীবন স্থায়ীত্ব হয়নি।
শাকিব খান একাধিকবার সাক্ষাৎকারে চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীকে নিজের প্রাক্তন স্ত্রী বলেই দাবি করেছেন। শুধু তাই নয়, এই দুই নায়িকার সঙ্গেই ভবিষ্যতে তার নতুন কোনো সম্পর্কের সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন।
তবে অপু-বুবলীর ক্ষেত্রে বরাবরই দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। তারা দুজনেই এখনও শাকিবকে নিজের স্বামী বলেই দাবি করেন। বিশেষ দিনগুলোতে নায়ককে নিয়ে নানা স্মৃতি ও রোমাঞ্চে ভাসেন। শুধু তাই নয়, শাকিবকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই কথার লড়াইয়েও জড়িয়ে পড়েন।
দুই নায়িকার চলমান এই দ্বন্দ্ব ভক্তদের মাঝেও স্পষ্ট। প্রায়শই অপু-বুবলী একে অপরকে ইঙ্গিত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও, একে অন্যের নাম মুখেও নিতে চান না বলে মন্তব্য করেন।
এই যেমন রোববার (১৫ জুন) রাতেই এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বুবলীকে ইঙ্গিত করে অপু বিশ্বাস বলেন, প্রিয় ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা, সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্য করছি, আমার ব্যক্তিগত কিছু মুহূর্ত বা আমার ছেলের সাথে স্মরণীয় সময়গুলো যখন আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করি— তখনই কোনো না কোনোভাবে সেই বিষয়কে ঘিরে একধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—আমি সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেই।
বোঝাই যাচ্ছে, বুবলীর সঙ্গে কোনো প্রতিযোগিতায় জড়াতে চান না তিনি। নায়িকার তেমন কোনো ইচ্ছেও নেই।
তবে যেই নামটা নিয়ে এত আপত্তি, সেই ‘বুবলী’ চরিত্রেই শাকিব খানের বিপরীতে একটি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন অপু বিশ্বাস। সিনেমার নাম ‘মনের ঘরে বসত করে’।
২০১১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি নির্মাণ করেন জাকির হোসেন রাজু। যৌথভাবে প্রযোজনা করেন খোরশেদ আলম ও মোহাম্মদ ইকবাল।
এই সিনেমায় কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস, চঞ্চলা চঞ্চু, মিশা সওদাগর, রেহানা জলি, কাজী হায়াত ও ইলিয়াস কোবরা। এই ছবিতে শান্ত চরিত্রে অভিনয় করেন শাকিব খান। অন্যদিকে শহরের নামকরা আইনজীবী বুবলী চরিত্রে দেখা যায় অপু বিশ্বাসকে।
সিনেমা শুরু হয় অপু বিশ্বাসের শৈশবের এক কষ্টের গল্প দিয়ে। যেখানে দেখা যায়, শৈশবে পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন বুবলী (অপু বিশ্বাসের চরিত্রের নাম)। তবে সন্ত্রাসীদের দলে থাকা শান্ত নামের এক বালকের বিচক্ষণতায় সেখান থেকে পালাতে পারে বুবলী। পুরস্কারের বদলে শান্তকে আটক করে পুলিশ, সন্ত্রাসীদের ধরতে ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাকে। পুলিশের অভিযানে আটক হয় সন্ত্রাসীরা।
এরপর বুবলীর খোঁজে হোটেলে এলে শান্ত জানতে পারে, ভ্রমণ শেষে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে গেছেন তিনি। ঢাকায় এসে বুবলীকে খুঁজতে থাকে শান্ত, আর বুবলী শান্তর স্মৃতি নিয়ে বাঁচতে থাকে। এভাবেই এগিয়ে যায় সিনেমার গল্প।
প্রায় ১৪ বছর আগে নির্মিত এই সিনেমা সে সময়ে ব্যবসায়িকভাবে বেশ সফল ছিল। বর্তমানে ইউটিউবেও দেখা যাচ্ছে অপু-শাকিবের ‘মনের ঘরে বসত করে’। যেখানে অপু বিশ্বাসকে বুবলী চরিত্রে দেখে নানা মন্তব্যে ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা।
এসএন