দক্ষিণ ভারতের এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা ত্রিশা কৃষ্ণন তামিল ও তেলুগু চলচ্চিত্রে একের পর এক সুপারহিট ছবি উপহার দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে ২০১৮ সালে ‘ছিয়ানব্বই’ ছবির মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে ফিরে এলেও, তারপর আর সেই ছন্দ বজায় রাখতে পারেননি তিনি।
‘ছিয়ানব্বই’-এর পর ত্রিশা মূলত তামিল ছবিতেই কাজ করেছেন। ‘লিও’ ছাড়া তার করা বাকি ছবিগুলি— যেমন ‘পেট্টা’, ‘পরমপদম বিলায়াট্টু’, ‘রাঙি’, ‘দ্য রোড’, ‘গোট’, ‘আইডেন্টিটি’, ‘বিদামুইয়ারচি’, ‘গুড ব্যাড আগলি’ এবং ‘ঠগ লাইফ’— বিশেষ সাড়া ফেলতে পারেনি।
রজনীকান্ত, কমল হাসান, বিজয় ও অজিতের মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করেও ত্রিশা তার পুরনো জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে পারেননি।
একমাত্র ‘পোন্নিয়িন সেলভান’ কিছুদিনের জন্য আলোচনায় এনেছিল তাকে, কিন্তু দুর্বল কাহিনির কারণে সেই আলো নিভে যায় দ্রুত।
এই পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখিয়েছে ত্রিশার একটি সাম্প্রতিক তেলুগু ধারাবাহিক— ‘বৃন্দা’। এটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে, এবং বুঝিয়ে দিয়েছে যে তেলুগু দর্শকদের হৃদয়ে এখনও তার জায়গা রয়েছে। ভক্তদের মধ্যে এখনও রয়েছে সেই পুরনো টান, শুধু দরকার একটি উপযুক্ত চলচ্চিত্রে অভিনয়ের।
এই সময়েই সামনে এসেছে তার নতুন ছবি ‘বিশ্বম্ভরা’। এই ছবিতে তিনি অভিনয় করছেন চিরঞ্জীবীর বিপরীতে। একটি সমাজভিত্তিক কল্পকাহিনি নির্ভর ছবিতে তাকে দেখা যাবে বলে জানা যাচ্ছে, যদিও তার চরিত্র এখনও প্রকাশ করা হয়নি। দর্শকদের আশা, এবার তাকে আরও দৃঢ়, গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। ছবিটির নির্মাণ কিছুটা পিছিয়ে গেলেও অনেকের বিশ্বাস, এটাই হতে পারে ত্রিশার তেলুগু ছবিতে নতুন করে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সুযোগ।
ত্রিশা একসময় ‘আচার্য’ ছবির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, কিন্তু পরে তা থেকে সরে আসেন। অনেক বছর ধরে তিনি তেলুগু মূলধারার ছবিতে নেই।
অন্যদিকে চিরঞ্জীবী, বালকৃষ্ণ, নাগার্জুন ও ভেঙ্কটেশ নিয়মিত বড় বাজেটের ছবিতে অভিনয় করছেন। কিন্তু তাদের পাশে এমন কোনও শক্তিশালী অভিনেত্রী দেখা যায়নি, যিনি সমানতালে অভিনয় করতে পারেন— সেই জায়গা ত্রিশা আবার পূরণ করতে পারেন।
ত্রিশার আছে পরিচিতি, অভিজ্ঞতা এবং দর্শকদের অটুট ভালোবাসা। কিন্তু যদি তিনি সঠিক সময় ও পরিকল্পনায় তেলুগু চলচ্চিত্রে না ফেরেন, তাহলে হয়তো তিনি কেবলই স্মৃতির অংশ হয়ে থাকবেন।
মাত্র দুটি সফল ছবি আবার ঘুরিয়ে দিতে পারে ত্রিশার পথচলা। ‘বিশ্বম্ভরা’ হয়তো সেই নতুন সূচনার প্রথম ধাপ— এখন শুধু প্রয়োজন পূর্ণ উদ্যমে নিজেকে উজাড় করে দেওয়া।
আরএম/টিএ