বড় ধরনের আর্থিক জরিমানার মুখে বিসিসিআই!

বড় ধরনের আর্থিক জরিমানার মুখে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচাইতে প্রভাবশালী বোর্ড বিসিসিআই। অন্যায়ভাবে চুক্তি বাতিল করায়, ৫৩৯ কোটি রূপি ক্ষতিপূরণ গুণতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। এরমধ্যে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি কোচি টাস্কার্স কেরালাকে ৩৮৫ কোটি ৫০ লাখ রূপি আর রেনডেভু স্পোর্টস ওয়ার্ল্ডকে দিতে হবে ১৫৩ কোটি ৩৪ লাখ রূপি। যদিও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ থাকছে বিসিসিআইয়ের। যে জন্য সংস্থাটিকে সময় দেওয়া হয়েছে ৩৬ সপ্তাহ।

সবকিছুতেই নিজেদের আধিপত্য দেখানো, জিততে চাওয়ার রেওয়াজ বেশ পুরানো বিশ্ব ক্রিকেটের সবচাইতে প্রভাবশালী বোর্ড বিসিসিআইয়ের। মাঠ কিংবা কিংবা ক্রিকেটীয় কূটনীতি সব জায়গাতেই চলে তাদের খবরদারি। তবে এবার তারাই ভূপাতিত হলো নিজ দেশে, দেখলো মুদ্রার উল্টো পিঠ। সমস্যার সূত্রপাত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আইপিএল নিয়ে।

২০১১ সালে আইপিএলে প্রথম ও একবারই খেলেছিল কোচি টাস্কার্স কেরালা। সে বছর টুর্নামেন্টে অষ্টম হয়েছিল তারা। সে সময় বিসিসিআই অভিযোগ তোলে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ব্যর্থ হয়েছে সময়মতো ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে। যে কারণে সেসময়ই তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বিসিসিআই।

যদিও শুরু থেকেই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিকপক্ষ। তারা শরণাপন্ন হন আদালতের। পরে ২০১৫ সালে স্বতন্ত্র সালিশি আদালত বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্তকে ভুল বলে ঘোষণা দেওয়া হয় এবং কোচি মালিক পক্ষের পক্ষে রায় দেয়।

তবে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড। কিন্তু গেল মঙ্গলবার (১৭ জুন) বোম্বে হাইকোর্ট তা খারিজ করে মধ্যস্থতাকারী রায়ের পক্ষে রায় দেন। যার মানে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে।

বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রিয়াজ আই. চাগলা'র রায় অনুসারে প্রায় ৫৩৮ কোটি রূপি ক্ষতিপূরণ গুণতে হবে বিসিসিআইকে। যার মধ্যে কোচি টাস্কার্স কেরালাকে ৩৮৫ কোটি ৫০ লাখ রূপি আর রেনডেভু স্পোর্টস ওয়ার্ল্ডকে দিবে হবে ১৫৩ কোটি ৩৪ লাখ রূপি।

যদিও আদালত বলেছেন, অ্যার্বিট্রেশন অ্যাক্টের ৩৪ ধরা অনুযায়ী তাদের এখতিয়ার খুবই সীমিত। সঙ্গে বিসিসিআইয়ের সমালোচনাও করেন আদালত। তবে বিসিসিআইকে এখনই ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে না। সংস্থাটিকে ৩৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে আপিল করার জন্য।

 
পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে পাখির ধাক্কা, ফিরতি ফ্লাইট বাতিল Jun 20, 2025
img
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে বহুমুখী ক্ষতিতে ইসরায়েল Jun 20, 2025
img
সিলেট সীমান্তে জব্দ দুই কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য Jun 20, 2025
img
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তায় চীনের নতুন অনুদান Jun 20, 2025
img
জো রুট ভাঙতে পারেন দ্রাবিড়ের রেকর্ড Jun 20, 2025
img
অনলাইনে আম বিক্রি করছেন ওমর সানী Jun 20, 2025
img
রাত ১টার মধ্যে যেসব এলাকায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড় হতে পারে Jun 20, 2025
img
এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে বাংলাদেশের হয়ে সোনা অর্জন আলিফের Jun 20, 2025
ইলন মাস্কের রকেটের আরেকটি ব্যর্থতা! Jun 20, 2025
দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত নোয়াখালীতে, রাস্তায় মাছ ধরলেন বাসিন্দারা! Jun 20, 2025
সাইকেলে এমন উঁচুতে? ১৫০ কিমির চরম এক অ্যাডভেঞ্চার! Jun 20, 2025
দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ বিএনপি নেতার Jun 20, 2025
img
ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তহীনতার সমালোচনা করলেন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা Jun 20, 2025
img
ইসরায়েলি হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয় : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Jun 20, 2025
img
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত সরকারের Jun 20, 2025
img
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র কাছারিবাড়ির ১০ স্টাফের বিরুদ্ধে মামলা Jun 20, 2025
img
ময়মনসিংহে মানব কঙ্কালসহ গ্রেফতার ১ Jun 20, 2025
img
‘উনি আমার ক্যারিয়ারের শেষ পর্যন্ত যা খুশি বলার অধিকার রাখেন’ Jun 20, 2025
img
প্রয়োজনে রাজনীতি ছেড়ে দেব, নীতি ছাড়ব না : জিএম কাদের Jun 20, 2025
img
ঠিক আছে, ধন্যবাদ, বিদায় : মাহিয়া মাহি Jun 20, 2025