বলিউডের আলোচিত পরিচালক করণ জোহরের রিয়েলিটি শো ‘দ্য ট্রেইটরস’ বর্তমানে রয়েছে বেশ আলোচনায়। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিরিজটি দর্শকদের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। গত ১২ জুন প্রথম তিন পর্বের প্রিমিয়ারের পর ১৯ জুন চতুর্থ পর্ব প্রকাশিত হয়েছে যেখানে চারজন প্রতিযোগীর বিদায় ঘটেছে। ভোটাভুটির মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে এই চারজন প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছেন।
গোলটেবিলের দীর্ঘ আলোচনায় প্রতিযোগীরা রাফতার ও মাহিপ কাপুরের মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। যদিও রাফতার অনেক প্রতিযোগীর সঙ্গে তর্কবিতর্কে জড়িয়েছিলেন এবং অনেকে তাকে বিশ্বাসঘাতক সন্দেহ করছিলেন তবে অন্য দল মাহিপকে বাদ দিতে অনড় ছিল। ফলস্বরূপ বাদ পড়েন মাহিপ কাপুর।
এপিসোডের শুরুতে ব্রেকফাস্ট এরিয়ায় একে একে সব প্রতিযোগী জড়ো হলেও মুকেশ ছাবড়া অনুপস্থিত ছিলেন। এরপরই করণ জোহর ঘোষণা করেন যে, বিশ্বাসঘাতক পূরব ঝা ও এলনাজ নরৌজি তাকে ‘খুন’ করেছেন। মূলত দুই বিশ্বাসঘাতক আশিস এবং মুকেশের মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে শেষ পর্যন্ত মুকেশ ছাবড়াকেই বহিষ্কার করেন।
সন্দেহের পরবর্তী পর্যায়ে সম্ভাব্য বিশ্বাসঘাতককে নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়। অপূর্ব মাখিজা, সুফি মোতিওয়ালা এবং রাফতারের নাম নিয়ে আলোচনা হলেও আশিস বিদ্যার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন। এই পর্বে উরফি এবং রাফতারের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ হয়, যেখানে তারা একে অপরকে বিশ্বাসঘাতক বলে অভিযুক্ত করেন।
উরফি রাফতারকে ‘পাগল’ আখ্যা দেন এবং নিজে বিশ্বাসঘাতক নন বলে প্রতিশ্রুতি দেন, “আমি যদি বিশ্বাসঘাতক হই, তাহলে মাথা ন্যাড়া করে ফেলব।” রাফতারও পিছিয়ে না থেকে বলেন, “আমি যদি বিশ্বাসঘাতক হই তবে র্যাপ করা বন্ধ করে দেব।”
আশিস বিদ্যার্থীর বিদায়ের পর পরের রাউন্ডে বেশিরভাগ প্রতিযোগীই রাফতারকে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে দাবি করেন। অপূর্ব মাখিজা, সুফি মোতিওয়ালা এবং রাফতারের নাম বিশ্বাসঘাতক হিসেবে উঠে আসে। শেষ পর্যন্ত, অনেকেই রাফতারের বিরুদ্ধে ভোট দেন এবং এভাবেই শো-তে তার যাত্রা শেষ হয়।
ইউ টি/ টিএ