বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ তুলে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। শনিবার (২১ জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা র্যাপিড আয়োজিত এক আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।
কালো টাকা সাদা করার সুযোগ খুব একটা কাজে আসে না জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা (কালো টাকা সাদা করার সুযোগ) থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেওয়া হোক।
এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে দুর্নীতি ও অযাচিত খরচ কমানো গেলে বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। আগের সরকারের সময়ে টেন্ডার যোগসাজশেই প্রকল্পে ১০ শতাংশ দুর্নীতি হতো।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তবে উপকারভোগীর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই ভূতুড়ে ও রাজনৈতিক বিবেচনায় তালিকায় ঢুকেছে। এ সময় অসাধুভাবে উপকারভোগ করাদের ছাঁটাই করতে মাঠ বৈঠক করা জরুরি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তারা এর জন্য প্রস্তুত নন। এই উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা, আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
তবে উত্তরণ পেছানোর বিপক্ষে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘গ্র্যাজুয়েশন আমাদের হয়ে গেছে ২০২১ সালে। এখন আমরা প্রথম তিন বছরের পর দুই বছর এক ধরনের গ্রেস পিরিয়ডে আছি। এখন নতুন করে যদি তিন বা পাঁচ বছর চাওয়া হয়–এটা এক ধরনের আবদার হতে পারে। অনুষ্ঠানে বাজেটের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রার সমালোচনা করে বলা হয়, এবারের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী, যা অর্জন সম্ভব নয়।
ইউটি/এসএন