বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, এই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, অন্যায়ের বিচার করা, সংস্কার সাধন করা, জনগণের অধিকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দেওয়া। যা করতে গিয়ে ১০ মাস সময় চলে গেছে।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে দুই দশক পর অনুষ্টিতব্য রাজনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম জুলাই-আগস্টে গিয়ে গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে।
আন্দোলনের যে অর্ন্তনিহিত শক্তি সেটি হচ্ছে গণতন্ত্রে প্রতি শ্রদ্ধা, গণতন্ত্র অর্জনের প্রতি আকাঙ্খা, গণতন্ত্র প্রাপ্তির জন্য ইচ্ছা এবং এটিকে অর্জন করার জন্য অধম্য স্পৃহা— সেটাই আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আপনারা দেখেছেন সিইসি নূরুল হুদা, হাবিবুল আউয়াল এখন কী বলছেন। গতকাল আদালতে দাঁড়িয়ে কথা বলেছেন। জ্ঞানপাপী বলে একটা কথা আছে, যে আমি সব জানি, বুঝতেছি কিন্তু প্রতিরোধের ব্যবস্থা করছেন না।
চৌদ্দ, আঠারো এবং চব্বিশসহ সকল নির্বাচন ব্লু-প্রিন্টেড করে নির্বাচন করা হয়েছে। জনগণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
রাজনগর সরকারী কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামি আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রাজনগর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গৌছ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দীন মিলন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সম্মেলন ও কাউন্সিল পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মুকিত। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন রাজনগর উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল পরিচালনা পর্ষদের প্রধান বকশী মিছবাহ উর রহমান, সদস্য মুজিবুর রহমান মজনু, মনোয়ার আহমেদ রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে উপজেলার ইউনিয়ন কমিটির ও নির্বাচিত ৫৬৮টি ভোটারের মধ্য ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ৪টি বুথে নির্ধারিত ভোটাররা নিজেদের ভোট প্রয়োগ করছেন। সভপতি পদে সাবেক সভাপতি জিতু মিয়া ও ইংল্যান্ড প্রবাসী নূরুল ইসলাম সেলুন ও সম্পাদক পদে সাবেক সম্পাদক আব্বাস আলী, ফজলুল হক নিরু, এনামুল হক চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কবির আহমদ, এমএ হকিম বক্স, যুগ্ম সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর আলম ও রাজিব, সাংগনিক সম্পাদক পদে আব্দুল কাইয়ূম বকুল ও রুপক দেব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদিকে সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে নির্বাচন কমিশন নুরুল ইসলাম সেলুনকে (প্রাপ্ত ভোট ৩৭৯) সভাপতি ও আব্বাস আলীকে (প্রাপ্ত ভোট ৩০৯) সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন।
এফপি/ টিকে