বার্সেলোনার তারকা রাফিনিয়ার কথায় উঠে এলো মজার এক গল্প। ক্লাবের উঠতি বিস্ময় বালক লামিন ইয়ামাল নাকি রাফিনিয়াকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন-নেইমারকে মেসেজ পাঠালে তিনি কি উত্তর দেবেন?
ব্রাজিলের জাতীয় দলে যোগ দেওয়ার আগে ইয়ামাল ও রাফিনিয়ার এই আলাপ হয়। পরে ছুটিতে ব্রাজিলে গিয়ে ইয়ামাল নেইমারের সঙ্গে দেখা করেছেন, আর সেই মিলন ঘটানোর পেছনে বড় ভূমিকা ছিল রাফিনিয়ার।
রাফিনিয়া বলেন, ও (ইয়ামাল) আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, ‘আমি নেইমারকে মেসেজ পাঠালে কি উত্তর দেবে?’ আমি বলেছিলাম, অবশ্যই উত্তর দেবে। ওর যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, এখন চাইলেই যে কোনো কিছু বা যে কোনো মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, এমনকি নেইমার জুনিয়রকেও। এটা কোনো কাকতালীয় ব্যাপার নয় যে ওরা একসঙ্গে দেখা করেছে।
মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ইয়ামালের অর্জন তাক লাগানো। বার্সেলোনার হয়ে ইতোমধ্যে ২৫টি গোল ও ৩৪টি অ্যাসিস্ট করেছেন। মাঠে তার পা পড়ার পরই যেন বাজ পড়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে। অনেকে ইতোমধ্যে ইয়ামালকে ভবিষ্যতের ব্যালন ডি’অর জয়ীর তালিকায় রাখছেন।
নেইমারও একসময় বার্সেলোনায় চার বছর খেলেছেন, ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত। অনেকেই বলছেন, ইয়ামাল হয়তো নেইমারের চেয়েও বড় প্রভাব রাখবেন ক্লাবের ইতিহাসে।
এখন ইয়ামাল জীবনের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ছুটি উপভোগ করছেন। এরপর বার্সেলোনার প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতিতে অংশ নিতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
সব মিলিয়ে বলা যায়, ইয়ামালের নেইমারের সঙ্গে এই ‘ড্রিম মিটিং’ যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভক্তদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকেও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
কেএন/টিকে