ঠিক ২০০০ সালের ৩০ জুন, ‘রিফিউজি’ দিয়ে বলিউডে পা রেখেছিলেন এক তরুণী। কেউ ভাবেনি এই লড়াকু মেয়েটিই একদিন হয়ে উঠবেন বলিউডের 'বেবো' — স্টাইল, আত্মবিশ্বাস আর সাহসিকতার প্রতীক। কারিনা কাপুর খান, আজ যার ২৫ বছরের কেরিয়ার শুধু সিনেমার হিসেব নয়, বরং এক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাপদণ্ড।
তাঁর ‘পু’ হয়ে ওঠা এক আত্মবিশ্বাসী প্রজন্মের মুখ, ‘গীত’-এর মতো চরিত্র হাজারো তরুণীর অনুপ্রেরণা। 'উড়তা পাঞ্জাব'-এর বাস্তববাদী চরিত্রে তিনি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন, আর 'হিরোইন', 'তালাশ', 'ওমকারা', 'চামেলি'তে ভেঙেছেন চরিত্রের গতানুগতিক ছাঁচ।
কারিনার ক্যারিয়ার কখনও একরৈখিক ছিল না। তিনি নিজেকে বারবার ভেঙেছেন, গড়েছেন। কখনও ফ্যাশন আইকন, কখনও সাহসী একক মায়ের ভূমিকায়, আবার কখনও প্রযোজক, পডকাস্ট হোস্ট। ‘জানে জান’ দিয়ে ওটিটিতে যখন আসেন, তখনও প্রমাণ করেন— সময় বদলালেও তিনি সমান প্রাসঙ্গিক।
কারিনার জনপ্রিয় শো 'হোয়াট ওমেন ওয়ান্ট' যেমন নারীকণ্ঠকে সামনে আনার মঞ্চ, তেমনি তাঁর আগত সিনেমাগুলিও জানান দেয়, এখনো তিনি থামেননি। বরং চলেছেন সেরা কাজগুলো সামনে রেখে।
২৫ বছরের পূর্ণতায় দাঁড়িয়ে কারিনা যেন মনে করিয়ে দেন, তারকা হওয়া সহজ, কিন্তু আইকন হওয়া এক অধ্যবসায়ের নাম।
এসএন