মহারাষ্ট্রে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ভাষা-রাজনীতি। ঠানে এক হিন্দি ভাষাভাষী দোকানদারকে মারাঠি না বলার কারণে মারধরের ঘটনার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যের মন্ত্রী নীতেশ রানে।
তিনি সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন— “আমির খান, জাভেদ আখতার কি মারাঠি বলেন? যদি তাঁরা না বলেন, তাহলে একজন দরিদ্র হিন্দি ভাষাভাষী দোকানদারকে মারার অধিকার কাদের?”
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)-র কিছু সমর্থক ঠানের ভায়ান্দারের এক দোকানদারকে হিন্দিতে কথা বলার জন্য বারবার চড়-থাপ্পড় মারছেন। তাঁরা দোকানিকে জিজ্ঞেস করেন, “এই রাজ্যে কোন ভাষা বলা হয়?” দোকানদার জবাব দেন, “সব ভাষাই বলা হয়।” এরপরই শুরু হয় শারীরিক নির্যাতন।
ঘটনাটি নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। সেই আবহেই শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নীতেশ রানে বলেন, “শুধু হিন্দু বলেই কি তাঁকে মারা হল? সাহস থাকলে যান মুম্বইয়ের নাল বাজার, মহম্মদ আলি রোডে। সেখানকার লোকেদের বলুন মারাঠি বলতে। যারা দাড়ি রাখে, টুপি পরে, তাদের কি মারাঠি বলতে বলেন?”
মন্ত্রী অভিযোগ করেন, মারাঠি ভাষার দোহাই দিয়ে নির্বাচিত কিছু মানুষকে টার্গেট করা হচ্ছে। তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন— “আমাদের সরকার হিন্দুত্বের আদর্শে চলে। কেউ এ ধরনের কাজ করলে সরকারও তৃতীয় নেত্র খুলবে।”
মহারাষ্ট্রে এর আগে একাধিকবার ভাষা-নিয়ে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিল মাসে মুম্বইয়ের পওয়াইয়ে এক সিকিউরিটি গার্ড মারাঠি না বলায় মার খেয়েছিলেন। একই মাসে ডোম্বিভলিতে এক মহিলাকে ‘এক্সকিউজ মি’ বলার কারণে সন্তানের সামনে মারধর করা হয়। মার্চে ওয়রসোভার এক দোকানের কর্মীকেও হিন্দিতে কথা বলার জন্য হেনস্থা করা হয়েছিল।
এই ঘটনার পর রাজ্যে আবারও ভাষা-রাজনীতির উত্তাপ বেড়েছে।
এফপি/টিকে