ক্ষমতাসীনরা আগের মতোই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করছে উল্লেখ করে আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান বলেছেন, তাদের চাহিদা- আগের মতোই সারাক্ষণ টিভি-মিডিয়া তাদের প্রশংসা করুক। তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে তৎকালীন সরকারের সঙ্গে আপসকারীদের মহানায়ক বানানোর খেসারত দিচ্ছে গণমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা বলেন তিনি।
মো. তারেক রহমান বলেন, সত্যিকারের যোদ্ধারা যুদ্ধের সময় যেমন হিংস্র হয়, তেমনি যুদ্ধ শেষে বিজয়ী হলে তেমন বিনয়ী হয়।
তারা পরাজিত-আহতের প্রতিও বিনয় প্রদর্শন করে। আওয়ামী লীগ থেকে আসা সমন্বয়করা নিজেদের আওয়ামীবিরোধী প্রমাণে কয়েক গুণ বেশি হুংকার দিচ্ছে।
সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে মব বাহিনী আইন না মেনে হুংকার দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে চ্যালেঞ্জ করতে গণমাধ্যমকেন্দ্রিক আইন আছে, রাষ্ট্রের আইন আছে। মব বাহিনী সেসব আইন মানতে চায় না।
তারা চায় মব দিয়ে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করবে। ইতিমধ্যে অনেক গণমাধ্যমকর্মীর চাকরি খেয়েছে স্ট্যাবলিশমেন্টকে প্রশ্ন করায়।
তিনি বলেন, জুলাই জনগণের ভাগ্য না খুললেও এসব মব শিশুর ভাগ্য খুলে দিয়েছে। তারা কেউ সত্যিকারের যোদ্ধা না; সত্যিকারের যোদ্ধারা পঙ্গু হাসপাতালে।
৫ আগস্টের পর এদের মব আর লুটপাট নিয়ে লেখার সুযোগ ছিল না। সাহস করে যে-ই কিছু প্রকাশ করছে, তার জীবনে নেমে এসেছে অন্ধকার।
বিমানবন্দরে উপদেষ্টার কাছে বন্ধুকের ম্যাগাজিন পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি ভেবেছিলাম এটা টাইমস ম্যাগাজিনের মতো কোনো সাপ্তাহিক পত্রিকা। একই ধরনের ঘটনায় আগে একজন আওয়ামী লীগ নেতা আটক হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সময়ে। আমার প্রশ্ন— গণমাধ্যমকে কেন হুমকি দিয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে নিউজ ডিলিট করতে হয়েছিল?
তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় আসে, গণমাধ্যমের কাছে শুধু প্রশংসা শুনতে চায়।
তারা চায় না দুদককে চিঠি দিয়ে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধ করার মতো কোনো নিউজ গণমাধ্যম ফাঁস করুক। তারা চায় না বিমানবন্দরে গুলির ম্যাগাজিন নিয়ে কোনো নিউজ ফাঁস হোক। ওয়াসার নিয়োগ জালিয়াতি নিয়ে নিউজ হওয়াতে তারা নাখোশ। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এমন যে ফাঁস করলেই সে ফ্যাসিবাদের দোসর। গণমাধ্যমকে হুমকি-ধমকির তীব্র নিন্দা জানাই আমজনতার দলের পক্ষ থেকে।
টিকে/