খুলনায় নিজ বাড়ির সামনেই যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা

খুলনায় যুবদলের সাবেক নেতা মোল্লা মাহবুবুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে নগরীর দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পাড়ায় নিজ বাড়ির সামনে তাকে গুলি করা হয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কুপিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা।

মাহবুবুর রহমান মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে। তিনি দৌলতপুর থানা যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা তিন ব্যক্তি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। মাহবুব গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার পায়ের রগ কেটে দেয়।

এদিকে যুবদল নেতা মাহবুবকে হত্যার সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা, যুবদলের সভাপতি আব্দুল আজিজ সুমন, সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রুবেলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আমরা দাবি করেছি পরিস্থিতি ঠিক করার জন্য। কিন্তু কেএমপির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদি ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহলে আজ মাহবুবের মতো তরতাজা জীবন দিতে হতো না। দিনের বেলা প্রকাশ্য দিবালকে তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, আমরা এর নিন্দা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

তিনি বলেন, যুবদলে মাহবুবের যে কর্মকাণ্ড ছিল তাতে তার শত্রু থাকার কথা নয়। হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই এবং প্রকৃত হত্যাকারীদের শাস্তি চাই।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৭টি খালি গুলির খোসা উদ্ধার করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় রাম দা হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই রাতেই সংগঠন থেকে মাহাবুবকে বহিষ্কার করা হয়। এরপরও তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
লড়াই করে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ জিতে যত কীর্তি ভারতের Oct 14, 2025
img
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার পরে মুখ খুললেন তনির স্বামী Oct 14, 2025
img
বিএনপির এই রাজনীতিটা অত্যন্ত ইতিবাচক : জিল্লুর রহমান Oct 14, 2025
img
দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরবৃদ্ধি Oct 14, 2025
img

সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
সেনাবাহিনীকে যে ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, অতীতে কখনো হয়নি : রুমিন ফারহানা Oct 14, 2025
img
এখন গাজাকে পুনর্গঠন করার সময় : ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
জামায়াত আমির-ডেনিশ রাষ্ট্রদূত সৌজন্য সাক্ষাৎ Oct 14, 2025
img
দেশে অস্থিরতার চক্র ভাঙার একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন : জাহেদ উর রহমান Oct 14, 2025
img
সংগীত কিংবদন্তিদের গল্প নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন স্ট্রেঞ্জার থিংস তারকা ফিন উলফহার্ড! Oct 14, 2025
img
ইসি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা নেই জনগণের, ব্যাপক প্রচারণার উদ্যোগ Oct 14, 2025
img
অবরোধ প্রত্যাহার ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের, যানচলাচল স্বাভাবিক Oct 14, 2025
img
স্বর্ণ ৫ হাজার ও রুপা ৬৫ ডলারে পৌঁছাতে পারে ২০২৬ এর মধ্যেই! Oct 14, 2025
img
সাকিবের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও শিরোপা হাতছাড়া Oct 14, 2025
img
টেইলর সুইফটের নতুন অ্যালবাম রেকর্ড ভাঙল অ্যাডেলের Oct 14, 2025
img
লম্বা বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা Oct 14, 2025
img
সারজিসের বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে রুমিন ফারহানার মন্তব্য Oct 14, 2025
img
ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপ, যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে বাড়ি নির্মাণের খরচ Oct 14, 2025
img

বিবিসিকে জর্ডানের বাদশাহ

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া মধ্যপ্রাচ্য ধ্বংস হবে Oct 14, 2025
img
দেশের সরকারগুলোর বড় দুর্বলতা দ্রুত জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় : মাসুদ কামাল Oct 14, 2025