এই রাজনৈতিক হানাহানি দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাবে: রনি

সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, ‘এনসিপির নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তারা বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, তাদের অনেক সাহস। তারা দেখানোর চেষ্টা করছেন যে, পুরো বাংলাদেশটি তাদের জন্য অবাধ এবং কোনো বিশেষ এলাকা কোনো রাজনৈতিক দলের দুর্গে পরিণত হতে পারে না। সংগত কারণেই তাদের এই যাত্রাকে কেন্দ্র করে একটা ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের লোকজন, ছাত্রলীগের লোকজন এসে এনসিপির নেতাদের সভা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে।’

‘প্রত্যেকটা টেলিভিশন থেকে শুরু করে পত্রিকাগুলোর যে মাল্টিমিডিয়া সেকশন রয়েছে তারা এই ঘটনার লাইভ দেখাচ্ছিল। সেখানে আমি দেখলাম যে, একজনও এনসিপির লোক সভাস্থলে নেই। যে যার যার মতো করে পালাচ্ছে।

এর মধ্যে স্পষ্টতই দাড়িওয়ালা লোকজন আছে, টুপিওয়ালা লোকজন আছে, পাঞ্জাবি পায়জামা পরা লোক আছে। এখন তারা কি জামায়াতের না চরমোনাইয়ের এটা বোঝা যাচ্ছে না। এবং তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে লাঠি নিয়েই দৌড়ে পালাচ্ছে। যে যার মতো বিভিন্ন অলিতে গলিতে এবং পুলিশের কাছে আশ্রয় নিচ্ছে। কিন্তু পুলিশ তাদেরকে রক্ষা করতে পারছে না।’

‘কিন্তু আজকে যখন এই ভিডিওটি করছি ১৬ তারিখে এই ১৬ তারিখটি জুলাই মাসের ১৬ তারিখ। গত বছর এই দিনটি বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট টার্নিং পয়েন্ট ছিল। তো সেই টার্নিং পয়েন্টের দিনটি উদযাপিত হবে অনেক চমৎকারভাবে। কিন্তু আজকে ঢাকার আকাশ মেঘলা।

আকাশ কাঁপছে। গোপালগঞ্জের আকাশ কি অবস্থা আমি জানি না। তো সেই অবস্থাতে তারা এই অনুষ্ঠানটি উদযাপন না করে বরং এদিন তারা খোঁচাখুঁচি করতে গেছে। মূলত এটা তাদের দরকার ছিল না।’
 
‘তো সেইদিক থেকে গোপালগঞ্জে যাওয়া তাদের প্রয়োজন ছিল না। ফলে কী হলো? মানে এরকম একটা বিশ্রী অবস্থা। বর্তমান দিক থেকে গোপালগঞ্জবাসী নির্যাতিত। ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ। তারপরে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নৌকা নেই। তো সেই দিক থেকে গোপালগঞ্জে যা ঘটল, তাতে মনে হচ্ছে যে, এনসিপির যারা নেতৃবৃন্দ তাদের প্রতি প্রকৃতি বিরূপ হয়ে গেছে। আর এর ফলে আওয়ামী লীগের সাহস বাড়ল, শক্তি বাড়ল। আর ওখানে যেসব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের, তারা সবসময় শক্তির পক্ষে থাকে।’

‘ফলে এই জিনিসগুলোর দরকার ছিল না। তো সবকিছু মিলিয়ে এই যে একটা রাজনৈতিক হানাহানির দিকে আমরা যাচ্ছি, এই জিনিসগুলো আমাদের দেশটাকে কোথায় নিয়ে যাবে, একবার একটু চিন্তা করেন।’

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত ঢাকার সাবেক মহানগর হাকিম রেজাউল করিম Oct 13, 2025
img
জাতিসংঘের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি স্থগিত করল ইরান Oct 13, 2025
img
ব্র্যাম্পটন ব্লিটজকে ৪৩ রানে হারিয়েছে সাকিবের দল Oct 13, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ ৩ আসামির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আজ Oct 13, 2025
img
ঝালকাঠিতে দুদকের ১৮৬তম গণশুনানি আজ Oct 13, 2025
img
ভিকি-ক্যাটরিনার সন্তান নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষীর! Oct 13, 2025
img
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ বিক্রির সময় ২ মণ ইলিশ জব্দ Oct 13, 2025
img
নতুন পরিচয়ে আসছেন অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ Oct 13, 2025
img
মসজিদ ও স্কুলের কাছে সিগারেটের দোকান নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব Oct 13, 2025
img
ইসির নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, বরখাস্ত অফিস সহকারী Oct 13, 2025
img
বিপিএলে ভালো মানের বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়া নিয়ে মন্তব্য করলেন ফারুক Oct 13, 2025
img
প্রথম দিনেই টাইফয়েডের টিকা নিল ১০ লাখ শিশু Oct 13, 2025
img
ফিনল্যান্ডকে হারিয়ে শীর্ষে নিজেদের জায়গা পোক্ত করল ডাচরা Oct 13, 2025
img

জামায়াত আমিরের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য জার্মানির সহায়তা কামনা Oct 13, 2025
img
স্যান্টনার ও রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য দল ঘোষণা নিউজিল্যান্ডের Oct 13, 2025
img
আর্জেন্টিনা বনাম স্পেন : ফিনালিসিমার ভেন্যু ও তারিখ চূড়ান্ত ! Oct 13, 2025
img
গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটেছে: ট্রাম্প Oct 13, 2025
img
ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্বনেতাদের শান্তি সম্মেলনে থাকছে না মূল ২ পক্ষ Oct 13, 2025
img
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার Oct 13, 2025
img

চাকসু নির্বাচন

চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা Oct 13, 2025