দীর্ঘ ১২ বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটল আর্জেন্টাইন লিগে সফরকারী দলের সমর্থকদের। এখন থেকে প্রতিপক্ষের গ্যালারিতে বসে নিজ দলকে সমর্থন দিতে পারবেন তারা। অবশ্য পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগে পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে ভক্তদের।
ঘটনা এক যুগ আগের, ২০১৩ সালে। লানুস ও এস্তুদিয়ান্তেস ক্লাবের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত হন এক সমর্থক। আরেক ম্যাচে গুলিবিদ্ধ হয়ে বোকা জুনিয়র্সের দুই সমর্থক নিহত হন। দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম বিভাগের ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় সফরকারী দলের সমর্থকদের মাঠে উপস্থিতি হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। কেবল স্বাগতিক ক্লাবের দর্শকদের মাঠে গিয়ে খেলা দেখার নিয়ম চালু রাখে এএফএ।
দীর্ঘ ১২ বছরের সে নিষেধাজ্ঞা কাটাতে বড় ভূমিকা রাখছেন আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা আনহেল ডি মারিয়া। সম্প্রতি তিনি ইউরোপীয় অধ্যায় শেষে দেশটির ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে ফিরে এসেছেন। তাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উন্মাদনা দেখা দিয়েছে দর্শকদের মাঝে। আর সেটাই অ্যাওয়ে ম্যাচে দর্শকদের মাঠে বসে খেলা দেখার নিষেধাজ্ঞা উঠাতে প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে বলে জানান এএফএ সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া।
তিনি বলেন, ‘এটি ঐতিহাসিক দিন, কারণ আজ (গতকাল) সফরকারী সমর্থকদের মাঠে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দর্শকদের উপস্থিতি নিয়ে প্রত্যাশা পূরণ হবে আয়োজক ক্লাবেরও।’
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে আর্জেন্টাইন ফুটবলের প্রধান আরও বলেন, ‘ফুটবল সমর্থক ও সমাজ এটাই চেয়ে আসছে। এতে দুই ধরনের (প্রতিপক্ষ) সমর্থকদের উপস্থিতিতে ম্যাচ আয়োজনের উপলক্ষ্য রয়েছে, তাই আমরা সফরকারী সমর্থকদের মাঠে ফেরানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
অবশ্য এখনই পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা কাটছে না। আগামী শনিবার (১৯ জুলাই) লানুসের মাঠে ম্যাচ রয়েছে ডি মারিয়ার দল রোজারিও সেন্ট্রালের। সেখানে সফরকারী ক্লাবটির সাড়ে ৬ হাজার সমর্থককে স্টেডিয়ামে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে এএফএ। একইভাবে ইনস্টিটুটো দে কোর্ডোবার মাঠে প্রবেশের সুযোগ পাবে রিভারপ্লেটের সমর্থকরাও। দুটি ম্যাচেই দর্শকদের আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হবে। সব ঠিকঠাক হলে ধীরে ধীরে বাড়বে সফরকারী দলের সমর্থকদের সংখ্যা।
ইউটি/এসএন