ভপালক-শ্বেতা ত্রিপাঠীর বিপরীতে দেখা যাবে তিলোত্তমা সোমকে।
বিদিশা চট্টোপাধ্যায়: ‘মাসান’-এর শালু, ‘মির্জাপুর’-এর গোলুকে মনে আছে তো! তিনি শ্বেতা ত্রিপাঠী। অভিনয়ের পর এবার প্রযোজনায় আসতে চলেছেন। প্রথম ছবি হিসাবেই তিনি বেছে নিয়েছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক সঞ্জয় নাগের নতুন ছবি ‘মুঝে জাঁ না কহো মেরি জান’। এই সমপ্রেমের ছবিতে আরও এক পালক-শ্বেতা ত্রিপাঠীর বিপরীতে দেখা যাবে তিলোত্তমা সোমকে। কথা হল পরিচালক সঞ্জয় নাগের সঙ্গে। তিনি বেশ কিছু বছর ধরেই এই ছবিটি পরিচালনা করতে চাইছিলেন।
বুসানের এশিয়ান ফিল্ম প্রোজেক্ট মার্কেটে এই ছবির ভাবনা নির্বাচিত হয়। সেখান থেকেই শুরু। তারপর কোভিডে ছবির কাজ আটকে যায়। ছবির স্ক্রিপ্ট একটি বই আকারে অ্যামাজনে রয়েছে। এই স্ক্রিপ্ট নিয়ে বেশ কয়েক বছর কাটার পর এগিয়ে আসেন শ্বেতা। এর আগে সঞ্জয় নাগ পরিচালিত ‘গুড মর্নিং সানশাইন’ ছবিতে কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। এই ছবির বিষয় জানতে চাইলে পরিচালক জানান, “দুজন মহিলার ভালোবাসার গল্প। ‘সদাবাহার’ ও ‘পূর্বাশা’। তাঁরা সম্পর্কে আছেন এবং এঁদের মধ্যে সদাবাহার মা হতে চায়। কিন্তু তার শরীর অ্যালাও করে না। আইভিএফ ফেল করে। মাতৃত্বের অসফলতা অনেক নারীর মধ্যেই ডিপ্রেশন নিয়ে আসে। আমাদের দেশে বিশেষ করে বিবাহিত মহিলারাই মা হওয়ার কথা ভাবেন, এবং তারা অসফল হলে তাদের পাশে থাকে স্বামী এবং পরিবার। কিন্তু সমপ্রেমের ক্ষেত্রে রয়েছেন দু’জন নারী। সেখানে অসফল হলে সমাজ তাদের কীভাবে দেখে। এবং তাদের মধ্যেকার পারস্পরিক সম্পর্কে কী প্রভাব পড়ে, এটা নিয়েই তৈরি হয় ছবির গল্প। শ্বেতাকে গল্প পাঠিয়েছিলাম ওর খুব ভালো লাগে। নিজেই এগিয়ে এসে বলে প্রযোজনার কথা। তারপর তিলোত্তমা সোমকেও আমরা বইটা পাঠাই। ওঁরও ভালো লাগে। তারপর আমাদের আলোচনা হয়।”

এই ছবিতে শ্বেতাকে ‘সদাবাহার’-এর চরিত্রে, তিলোত্তমাকে ‘পূর্বাশা’-র চরিত্রে দেখা যাবে। শুটিং প্রধানত মুম্বইয়েই হওয়ার কথা। খুব সম্ভবত চলতি বছরের শেষের দিকে। শ্বেতা ত্রিপাঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুম্বই থেকে জানান, ‘আমি দাদাকে (সঞ্জয় নাগ) কাজের সূত্রেই চিনি। তাঁর প্রতি আমার অগাধ শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস আছে। আমি যখন বইটা পড়ি কিছুতেই মাথা থেকে বের করতে পারিনি। মনে আছে বইটা অর্ধেক পড়ে একটি ডিনারে গিয়েও কেবলই ওই দুজনের কথা ভেবেছিলাম। আমি অনেকদিন ধরেই ভাবছি প্রযোজনার কথা। নিজের গল্প বলতে চাই, অন্যদের গল্প বলতে সাহায্য করতে চাই। প্রথম ছবি হিসাবে এর চেয়ে ভালো গল্প আর হতে পারে না। এই ছবি প্রেম, আশা এবং স্বপ্নের কথা বলে।’ এর আগে শ্বেতা ত্রিপাঠী একটি ইংরেজি নাটক প্রযোজনা করেছেন। শ্বেতার প্রযোজনায়, মাইক বার্টলেট-এর ‘কক’ নাটকটি পৃথ্বী থিয়েটারে মঞ্চস্থ হয় প্রাইড মান্থে। শ্বেতা টেলিফোনে জানান, ‘এই নাটকটা আমি কলকাতায় নিয়ে আসতে চাই।’
এমকে/টিএ