মাত্র ১০ বছর বয়সে টেলিভিশন সোপ ‘অপেরা আদার ওয়ার্ল্ড’র মাধ্যমে পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন লিন্ডসে লোহান। শিশুশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু করা এই অভিনেত্রী সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে ওঠেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। ‘দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ’-এ তার অবিশ্বাস্য ভূমিকাই তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয় এবং মূলধারার সাফল্যের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয়।
শিশুশিল্পী থেকে প্রধান চরিত্রে রূপান্তরিত হওয়ার পর, লিন্ডসে লোহানের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়।
জানা গেছে, ‘ফ্রিকি ফ্রাইডে’র জন্য তিনি সাড়ে ৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং ‘কনফেশনস অফ অ্যা টিনএজ ড্রামা কুইন’ এবং ‘মিন গার্লস’র জন্য তিনি ১ মিলিয়ন ডলার করে আয় করেছেন। মিন গার্লসের সাফল্য তাকে আরও খ্যাতি এনে দিয়েছে, যার ফলে নিজের পারিশ্রমিক আরও বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী তিনটি সিনেমা ‘হার্বি : ফুলি লোডেড’ (২০০৫), ‘জাস্ট মাই লাক’ (২০০৬) এবং ‘জর্জিয়া রুল’ (২০০৭) থেকে তিনি মোট সাড়ে ৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন।
অল্প বয়সে ক্যারিয়ার শুরু করে লোহান কয়েক দশক ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন, উপার্জন করেছেন অঢেল অর্থ, আবার কখনো কখনো হারিয়েছেনও।
একসময় হলিউডের ধনী তারকাদের নামের তালিকায় লিন্ডসে লোহানও ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত সংগ্রামের কারণে তার মোট সম্পদের বেশ কিছু উত্থান-পতন হয়েছে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার, আইনি ঝামেলা এবং পুনর্বাসনের খরচের মতো সমস্যাগুলো বছরের পর বছর ধরে তার আর্থিক অবস্থার ওপর বেশ প্রভাব ফেলেছে।
সেলেব্রিটি নেট ওয়ার্থের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, বর্তমানে লিন্ডসে লোহানের আনুমানিক মোট সম্পদের পরিমাণ মাত্র ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার! অথচ ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকাকালীন তিনি হলিউডের সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন এবং শুধু সিনেমায় অভিনয় করেই প্রায় ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিলেন।
কিন্তু সেই সোনালি দিন আর নেই। মূলত আইনি এবং ব্যক্তিগত ঝামেলায় উদ্ভূত আর্থিক বিপর্যয়ের কারণে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছেন এ অভিনেত্রী।
যদিও তিনি এখন সুস্থ। ফিরে এসেছেন সিনেমা জগতেও এবং হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধারের চেষ্টাও করছেন বলে জানা গেছে। শিগগিরই জেমি লি কার্টিসের সঙ্গে ‘ফ্রিকিয়ার ফ্রাইডে’ নিয়ে বড় পর্দায় ফিরছেন লোহান।
এমকে/টিএ