অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন জুলাই আন্দোলনে সরব ছিলেন। রাজপথেও নেমেছিলেন অভিনেত্রী। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন তিনি।
বাঁধনকে কখনো ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট, কখনো মোসাদের এজেন্ট আবার কখনো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট হিসেবেও বিদ্রুপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন এই অভিনেত্রী।
সামাজিক মাধ্যমে ট্রলের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী। শোবিজ অঙ্গনের তারকারাই তাকে নিয়ে ট্রল করছেন। যা নজর এড়ায়নি অভিনেত্রীর। এবার ট্রলের বিষয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার সামাজিকমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমার কিছু সহকর্মী আমার ওপর ব্যক্তিগতভাবে, নির্মম ও নির্দয়ভাবে আক্রমণ চালাতে শুরু করেছে। তারা ইন্টারনেটের অচেনা মানুষ নয়। সেইসব মানুষ, যাঁদের সঙ্গে আমি একসময় কাজ করেছি। একসাথে মঞ্চে দাঁড়িয়েছি।
যাঁদের আমি বিশ্বাস করতাম। তাঁদের কথাগুলো ছিল অমানবিক, উদ্দেশ্য ছিল অপমান করা।’
বাঁধন বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমার ছবি দিয়ে ভরে উঠেছিল। রুমিন ফারহানা আর ভিপি নূরের পাশে দাঁড়িয়ে আছি। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে যেন আমি কোনো অপরাধ করে ফেলেছি! এমনকি শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রীদের সঙ্গে তোলা আমার পুরোনো ছবিগুলো ছড়িয়ে দিল।
গল্পকে ঘুরিয়ে বোকাদের মতো কথা বলছে!’
তিনি আরও বলেন, ‘তাঁরা আমাকে গালি দিয়েছে, আমি যা কিছুর পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম তার সব কিছুকে অসম্মান করার চেষ্টা করেছে এবং এখনও তা করছে। তাঁদের অনেকে আবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত। কিন্তু সবচেয়ে বেশি যেটা কষ্ট দেয়, তাহলো এই ট্রোল বা অপরিচিত মানুষদের আক্রমণ নয় বরং যাঁরা একসময় আমার পাশে ছিলেন, আমায় চেনেন। তারাই যখন আমার পথ আলাদা হতেই হিংস্র হয়ে উঠলেন। তাঁরা ঘৃণা এতটাই অন্ধ হয়ে গেছে যেন বিষ না উগড়ে দিলে নিজেরাই দমবন্ধ হয়ে মারা যাবে।’
হতাশার সুরে বলেন, ‘কী অসুস্থ সমাজে বাস করছি আমরা, যেখানে কারও মত আলাদা হলেই তাঁকে ছিঁড়ে ফেলা হয়? যেখানে রাজনীতি শুরু হলে মানবতা শেষ হয়ে যায়? এটা হৃদয়বিদারক। এটা ভয়ঙ্কর। আর এটা অত্যন্ত লজ্জার।’
এমকে/টিএ