জাপান সাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করল চীন ও রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন ও রাশিয়া। রোববার (৩ আগস্ট) জাপান সাগরে শুরু হয়েছে ‘জয়েন্ট সি-২০২৫’ নামে তিনদিনব্যাপী এই মহড়া। কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক ব্যবস্থাকে ভারসাম্যপূর্ণ করাই এই মহড়ার মূল লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন ও রাশিয়া সরকার দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করেছে। ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়া মস্কোকে অর্থনৈতিকভাবে সাহায্য করছে বেইজিং।

চলতি সপ্তাহে রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চীন ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হলো।

রোববার চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক বন্দরের কাছে আন্তর্জাতিক জলসীমায় শুরু হওয়া এই সামরিক মহড়া তিন দিন ধরে চলবে। মহড়ায় দুই দেশ একসঙ্গে সাবমেরিন উদ্ধার, সাবমেরিন-বিধ্বংসী অভিযান, বিমান প্রতিরক্ষা, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ও সমুদ্রযুদ্ধের অনুশীলন করবে।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার শাওশিং ও উরুমকিসহ চীনের চারটি যুদ্ধজাহাজ রুশ যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। মহড়ার পর দুই দেশ ‘প্রশান্ত মহাসাগরের সংশ্লিষ্ট জলসীমায়’ নৌ-টহল পরিচালনা করবে।

২০১২ সালে যৌথ নৌ মহড়া শুরু করে চীন ও রাশিয়া। তারপর থেকে নিয়মিতভাবে এই সামরিক মহড়ার আয়োজন করছে দেশ দুটি। গত বছরের মহড়া অনুষ্ঠিত হয় চীনের দক্ষিণ উপকূলে। পাঁচদিনব্যাপী ওই মহড়ায় দুই দেশের ছোট-বড় ৪০০ জাহাজ, অন্তত ১২০টি যুদ্ধবিমান ও ৯০ হাজারের বেশি সেনা অংশ নেয়।

এদিকে জাপান সাগরে চীন-রাশিয়ার এই সামরিক মহড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে জাপান। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সতর্ক করে বলেছে, রাশিয়ার সাথে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতা গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করছে।

এমআর/টিকে     

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মাঝরাতে হঠাৎ ওসমান হাদির ফেসবুক পোস্ট Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়াই একমাত্র বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারেন : ফজলুর রহমান Dec 02, 2025
img
৭০ শতাংশ বাংলাদেশি অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের প্রতি সন্তুষ্ট : আইআরআই জরিপ Dec 02, 2025
img
কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প Dec 02, 2025
img
গত বিপিএলে ৫১১, তবুও সমালোচনা নাঈমকে নিয়ে! Dec 02, 2025
img
ভাগ্যের উপর ভরসা নয়, নিজের কাজে আস্থা কাজলের Dec 02, 2025
img
মধ্যরাতে বার্তা দিলেন আইন উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
অন্তর্বর্তী সরকার ‘অনেক বেশি’ সংস্কার করে ফেলেছে : পরিকল্পনা উপদেষ্টা Dec 02, 2025
img
শিগগিরই দেশে ফিরছেন তারেক রহমান : সালাহউদ্দিন Dec 02, 2025
img
ডিবি অফিসে যাওয়া ব্যক্তির বট আইডিগুলো আগে বন্ধ করা দরকার : আবিদুল ইসলাম আবিদ Dec 02, 2025
img
খালেদা জিয়া দেশের গণতন্ত্র ও ঐক্যের অনুপ্রেরণা : গয়েশ্বর Dec 01, 2025
খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেছে এনসিপি Dec 01, 2025
img
ঢাকার মালিকানায় শাকিব খান, থাকবেন ম্যাচেও Dec 01, 2025
ব্যর্থ রাষ্ট্রের স্বপ্নদ্রষ্টাদের কাছে তারেক চ্যালেঞ্জ: রুমিন ফারহানা Dec 01, 2025
img
দুঃসংবাদ পেল ভারত Dec 01, 2025
img
শুভ ও ঐশীর অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরালের মাঝেই নতুন খবর! Dec 01, 2025
img
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফের বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড Dec 01, 2025
img
আবারও বাড়ল সোনার দাম Dec 01, 2025
img
মায়ের হাত ধরেই উদিতের সুরের যাত্রা শুরু Dec 01, 2025
img
অপপ্রচারের অভিযোগে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত ডাকসু নেতারা Dec 01, 2025