দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সঙ্গে ‘চালবাজ’ নামে একটি সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন শ্রীদেবী। ছবিটিতে রজনীকান্তের সঙ্গে অভিনেত্রীর রসায়ন এবং দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় এতটাই মুগ্ধ করে যে ব্যাপক সংখ্যক দর্শক তার ভক্ত বনে যান।
সিনেমাটি যখন মুক্তি পায় তখন রজনীকান্ত এবং শ্রীদেবী প্রায় ১২টি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করে ফেলেছেন। দর্শকদের প্রিয় অনস্ক্রিন জুটি হয়ে উঠেছিলেন।
দুজনের দৃঢ় রসায়ন এবং দুর্দান্ত জুগলবন্দির মধ্যে, একটি অন্তহীন প্রেমের গল্পও তৈরি হয়েছিল, যা খুব কম লোকই জানেন।
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন, শ্রীদেবীর সঙ্গে কাজ করার শুরুর দিনগুলোতে অভিনেত্রীর প্রতি রজনীকান্তের ভালোলাগা তৈরি হয়। তামিল, তেলুগু এবং হিন্দি ছবিতে তাদের রসায়ন বেশ চর্চিত। কিন্তু খুব কম লোকই জানত যে, বাস্তবে নিজের চেয়ে ১৩ বছরের ছোট শ্রীদেবীকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন রজনীকান্ত।
শ্রীদেবী এবং রজনীকান্তের ক্যারিয়ারে সাফল্যের পিছিয়ে অনেকটা বড় ভূমিকা রয়েছে চলচ্চিত্র নির্মাতা কে বালাচন্দের।
এ প্রসঙ্গে পরিচালক মুখও খুলেছিলেন। বলেছিলেন, একবার রজনীকান্ত শ্রীদেবীর হাউজ পার্টিতে তার ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু অভিনেত্রীর বাড়ির দরজায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে হঠাৎ আলো নিভে যায়।
রজনীকান্ত কুসংস্কারে বিশ্বাস করতেন। তিনি এই বিষয়টিকে একটি ইঙ্গিত হিসেবে ভেবেছিলেন এবং অশুভ সময় মনে করে চুপচাপ ফিরে যান। আর কখনো নিজের অনুভূতি নিয়ে কথা বলেননি থালাইভা। তারপর ১৯৯৬ সালে প্রযোজক বনি কাপুরকে বিয়ে করেন শ্রীদেবী।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে তামিল ছবি ‘মুন্ড্রু মুদিচু’ দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন শ্রীদেবী।
এই ছবিতে তিনি রজনীকান্তের মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এটি তাদের দুজনের জন্যই একটি বড় ছবি বলে প্রমাণিত হয়েছিল। বাস্তব জীবনে, শ্রীদেবী এবং রজনীকান্ত একে অপরকে অনেক সম্মান করতেন। ‘রানা’ ছবির শুটিং চলাকালীন রজনীকান্তের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে, শ্রীদেবী তার দ্রুত আরোগ্যের জন্য ৭ দিন উপবাস করেন। ২০১৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইতে হঠাৎ মৃত্যু হয় শ্রীদেবীর।
এসএন