দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অ্যাকশন থ্রিলার সিনেমা ‘ওয়ার ২’ অবশেষে মুক্তি পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন সিনেমাটি নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। হৃতিক রোশন এবং জুনিয়র এনটিআরের অ্যাকশন দৃশ্যগুলো দর্শকদের মুগ্ধ করলেও, অনেকেই সিনেমার দুর্বল চিত্রনাট্যের সমালোচনা করছেন। ফলে সিনেমাটি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে।
(১৪ই আগস্ট) সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকরা তাদের এক্স-এ মতামত জানাচ্ছেন। বেশিরভাগ দর্শকই জুনিয়র এনটিআরের দুর্দান্ত এন্ট্রি এবং মারমুখি দৃশ্যগুলোর প্রশংসা করেছেন। অনেকে মনে করছেন, কিছু দৃশ্যে তিনি হৃতিককেও ছাপিয়ে গেছেন। সিনেমায় কিয়ারা আদভাণীকেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকশন-প্যাকড চরিত্রে দেখা গেছে।
শুধু জোরে মিউজিক আর স্লো-মোশন এন্ট্রি ছাড়া কিছুই নেই। দুর্বল গল্প, বাজে ভিএফএক্স এবং অনুমানযোগ্য টুইস্ট। হৃতিক রোশনের অভিনয় ফ্ল্যাট, তবে জুনিয়র এনটিআর ঠিকঠাক। শুধু স্পাই ইউনিভার্স নয়, সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে বাজে অ্যাকশন সিনেমা এটি।’
তবে অনেক দর্শকই সিনেমার অ্যাকশন এবং তারকাদের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘সিনেমাটি খুবই ভালোভাবে শুরু হয়েছে, বিশেষ করে এনটিআরের এন্ট্রি দারুণ।
ইন্টারভেলের টুইস্টটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ। যদি লজিক এবং পদার্থবিদ্যাকে উপেক্ষা করা যায়, তাহলে চেজ এবং ফাইট সিকোয়েন্সগুলো বেশ উপভোগ্য। হৃতিক রোশনের স্ক্রিন প্রেজেন্স এবং ওরার কোনো তুলনা হয় না, ওর অভিনয় অসাধারণ। জুনিয়র এনটিআর অ্যাকশন এবং আবেগপূর্ণ দৃশ্যে চমৎকার কাজ করেছেন। বলিউডে তাকে স্বাগত। হৃতিকের সঙ্গে তার রসায়ন ছিল অসাধারণ।’
আরেকজনের মন্তব্য, ‘কবির চরিত্রে হৃতিক রোশন মানেই “পিওর সোয়াগ ও পাওয়ার”। জুনিয়র এনটিআর কাঁচা এনার্জি দিয়ে দৃশ্যগুলো নিজের করে নিয়েছেন। কিয়ারা আদভানিও একটি দারুণ অ্যাকশন চরিত্রে চমকে দিয়েছেন। শ্বাসরুদ্ধকর চেজ, দুর্দান্ত ভিএফএক্স এবং বিজিএম সব মিলিয়ে দারুণ।’
এছাড়াও একজন লিখেছেন, ‘এনটিআর ছবির দ্বিতীয় প্রধান অভিনেতা নন, বরং তিনি প্রধান ভিলেন। হৃতিকই সিনেমার মূল হিরো।’ আরেকজন বলেছেন, ‘এনটিআর কিছুটা নতুনত্ব এনেছেন, কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। হৃতিক, যিনি একসময় স্টাইলিশ অ্যাকশনের মুখ ছিলেন, তাকে পুনরাবৃত্তিমূলক এবং অনুপ্রেরণাহীন লাগছে- একই পোজ, একই হাসি, কোনো স্ফুলিঙ্গ নেই।’ সব মিলিয়ে ‘ওয়ার ২’ সিনেমাটি অ্যাকশনপ্রেমীদের একাংশকে আনন্দ দিলেও, চিত্রনাট্যের দুর্বলতা অনেকের কাছেই হতাশাজনক মনে হয়েছে।
কেএন/এসএন