ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন আদৌ হবে কি না প্রশ্নে ডাকসু নির্বাচনে সহ সভাপতি পদপ্রার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ‘এ নিয়ে যেমন শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা আছে, তেমনই রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যেও রয়েছে পরাজয়ের আশঙ্কা। কারণ এবারের নির্বাচনে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। অনেক হলে কোনো নির্দিষ্ট প্যানেল নেই, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীরাই নানা পদে প্রার্থী হয়েছেন। ফলে অনেকে পিছন থেকে নির্বাচন আটকানোর চেষ্টা করছে।’ সম্প্রতি একটি টকশো প্রোগ্রামে তিনি এসব নিয়ে কথা বলেন।
উমামা ফাতেমা জানান, তাদের ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেলটি গঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল এমন প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া, যারা কোনো ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত নন কিন্তু যোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে। তিনি মনে করেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়কে তার মূল রূপে দেখতে চান এবং বাস্তবিক পরিবর্তন চান, তারা এই প্যানেলকে সমর্থন করবেন।
ভিপি নির্বাচিত হলে তিনি কি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না প্রশ্নে উমামা বলেন, ‘তার এমন কোনো পরিকল্পনা নেই।
তিনি জাতীয় রাজনীতিতে না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন যে অবস্থা বিরাজ করছে, তা পরিবর্তনে বড় ধরনের একাডেমিক ও রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় যেন ‘শিক্ষিত বেকার তৈরির কারখানায়’ পরিণত না হয়, সেজন্য শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ও ক্যারিয়ার প্রস্তুতিতে বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
উমামা ফাতেমা বিভিন্ন একাডেমিক সংস্কারের পরিকল্পনার কথা জানান, যেমন ওপেন ক্রেডিট সিস্টেম চালু, থিসিস ও ইন্ডাস্ট্রিতে ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা, ইনোভেশন ও রিসার্চ সামিট আয়োজন, ক্যাম্পাসে ‘ইন-ক্যাম্পাস জব সুবিধা’, প্রশাসনিক সেবা ডিজিটালাইজ করা, অ্যালুমনাই ও ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা।
এ ছাড়া আবাসন সংকট ও স্বল্পমূল্যে মানসম্পন্ন খাবার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিও তিনি দেন। তিনি জানান, নারীদের জন্য একটি আর্থিক সহায়তা প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে তিনি ইতিমধ্যেই ভূমিকা রেখেছেন।
সবশেষে উমামা বলেন, ‘ডাকসুর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব এমন হতে হবে যারা কেবল ‘নেতা’ হতে চায় না, বরং সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনমান ও শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করতে প্রস্তুত।’ তার নিজের অভিজ্ঞতা, ভিশন ও প্রস্তুতি তাকে এই দায়িত্ব পালনে যোগ্য করে তুলবে বলে তিনি মনে করেন।
এফপি/ টিএ