পিরোজপুরে অনিয়ন্ত্রিত ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্যে জনদুর্ভোগ চরমে

পিরোজপুরে অনিয়ন্ত্রিত অটো ও ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্যে জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সরু সড়ক আর যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিংয়ের কারণে প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে তীব্র যানজট। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অটোরিকশা দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে দেখা দিচ্ছে বিপর্যয়। অপরদিকে অদক্ষ চালকদের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

প্রায় দেড়শ বছরের পুরানো পৌর শহর পিরোজপুর। শহরের পুরাতন কাপড়পট্টি, ক্লাবরোড ও সাধনা ব্রিজ থেকে বড় মসজিদ সড়ক পর্যন্ত যানজটের দৃশ্য দেখে মনে হয় যেন এটি কোনো রিকশা বা অটোস্ট্যান্ড। সরু রাস্তা, ঘনবসতিপূর্ণ বাজার ও অতিরিক্ত রিকশা-অটোর কারণে পথচারীদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া অটোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থানে বেআইনি স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে, যা কেন্দ্র করে চলছে চাঁদাবাজিও।
সদর রোডের ব্যবসায়ী নির্মল কর্মকার বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে শহরে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। সে সময় তিন-চার শ’ রিকশা চলতো। এখন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজারের ওপরে। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকে। দোকানের সামনে অটো দাঁড়িয়ে থাকে, কিছু বলতে গেলে চালকদের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়াতে হয়।’

অটোচালক ফজলু বলেন, ‘শহরে নির্দিষ্ট কোনো স্ট্যান্ড নেই। তাই বাধ্য হয়ে যেখানে সেখানে পার্কিং করতে হয়। এতে পথচারীদের অসুবিধা হলেও আমাদের কিছু করার নেই। নির্দিষ্ট জায়গা করে দিলে আমরা রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করতাম না।’

পিরোজপুর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন মল্লিক বলেন, ‘অদক্ষ চালকদের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। চালকদের প্রশিক্ষণ এবং রাস্তা প্রশস্ত করার মাধ্যমে যানজট নিরসনের পরিকল্পনা আছে। তবে ট্রাফিক বিভাগের উদাসীনতাও এ সমস্যাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

জানা গেছে, জেলার সাতটি উপজেলায় ২০টি অভ্যন্তরীণ সড়ক ও ৩টি আঞ্চলিক মহাসড়কে প্রায় ২০ হাজার অটো ও ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করছে। এর সিংহভাগ চালকই অদক্ষ এবং এসব যানবাহনের জন্য নেই কোনো নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড।

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জিয়াউর রহমানের মাজারে ডাক্তার সাবরিনা, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন যুবদল সভাপতি Aug 26, 2025
img
কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার Aug 26, 2025
img
আগামীতে নেককার মুত্তাকি মানুষের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতে হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Aug 26, 2025
img
রাজনীতির প্রতিশোধ অনেকটা প্রকৃতির প্রতিশোধের মতোই : জিল্লুর রহমান Aug 26, 2025
img
শিগগিরই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পরিকল্পনা করছেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী Aug 26, 2025
img
প্রাণনাশের শঙ্কায় বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান, চাইলেন নিরাপত্তা Aug 26, 2025
img
৬ মাসের মধ্যে প্রতি জেলায় লিগ্যাল এইডের ব্যবস্থা করে যাব : আসিফ নজরুল Aug 26, 2025
img
গিলকে ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে দেখছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার Aug 25, 2025
img
আগামী ২০ বছরেও আওয়ামী লীগ ফিরে আসার কোনো রাজনৈতিক সম্ভাবনা নেই : রনি Aug 25, 2025
img
টাইগারদের সাবেক কোচের জায়গা নিলেন শেন বন্ড Aug 25, 2025
img
পুনে শহরে গ্রেপ্তার ২৩ বাংলাদেশিকে বিমানে নেওয়া হলো পশ্চিমবঙ্গে Aug 25, 2025
মানুষের ভিড়, মোদীর জন্য বড় বার্তা! | থালাপতি বিজয় | মোদী | নির্বাচনী ভিডিয়ো Aug 25, 2025
img
আফ্রিদির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি দিয়ে ভালো উকিল খুঁজছেন স্বপন Aug 25, 2025
img
গভীর রাতে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে ক্ষমা চাইলেন উমামা ফাতেমা Aug 25, 2025
img
ইসির সীমানা পুনর্নির্ধারণ : দ্বিতীয় দিনে ২০ আসনের ৫১৩ আবেদনের শুনানি Aug 25, 2025
img
খুলনার নতুন ডিসি তৌফিকুর রহমান Aug 25, 2025
img
রোহিঙ্গারা অধিকার নিয়ে মায়ানমারে ফিরতে প্রস্তুত : খলিলুর রহমান Aug 25, 2025
img
হার দিয়েই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যাত্রা শুরু আফিদাদের Aug 25, 2025
img
রুমিন ফারহানাকে কৃতজ্ঞতা জানালেন আরজে কিবরিয়া Aug 25, 2025
img
হাইকোর্টের বিচারপতি হলেন সারজিস আলমের শ্বশুর Aug 25, 2025