করোনার বিষয়ে ঠিক কতটা পূর্বাভাস আমরা পেয়েছি?

এই নিবন্ধের শুরুতে যেমনটি বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের মতো একটি মহামারী যে আসতে পারে তা বহু আগেই ধারণা করা হয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সময়ও পর্যাপ্ত ছিল না। গত দুই দশক ধরে পূর্বের প্রকোপ এবং তার সময়সীমা বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক নেতাদের এবং সরকারগুলোকে এই সতর্কবার্তাটি গুরুত্বের সাথে নেয়ার জন্য হুশিয়ার করছিলেন।

আদিকালে বিশ্বজুড়ে সংক্রামক রোগের বিপর্যয় সৃষ্টির মধ্য দিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারী সমূহ সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সাম্প্রতিক বিশ্লেষণ অনুসারে, ১৯১৮-১৯ সালের ইনফ্লুয়েঞ্জার ফলে বিশ্বব্যাপী ৫০ থেকে ১০০ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল।

আজকে বিশ্বের জনসংখ্যা ১৮.৫ বিলিয়নেরও বেশি। তাই বর্তমান সময়ে একটি মহামারীর ফলে ১৯১৮ এর চেয়ে তিনগুণ বেশি লোক মারা যেতে পারেন। এমনকি একটি হালকা মহামারীও বহু মিলিয়ন মানুষের প্রাণ নিতে যথেষ্ট।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বিশ্ব কতটা প্রস্তুত ছিল?

করোনাভাইরাস বিভিন্ন দেশের সরকারী কর্মকর্তা, বেসরকারি খাতের অংশীদার এবং সম্প্রদায়কে পরস্পরের সাথে মিলিত হবার এবং সম্ভাব্য দ্বিধাদ্বন্দ্বের মাধ্যমে চিন্তা করার যথেষ্ট সময় দিয়েছিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার এবং সাংগঠনিক কাঠামো স্থাপনের জন্য ১২ থেকে ৩৬ মাসের সুযোগ তৈরি হয়েছিল।

এক্ষেত্রে ইনফ্লুয়েঞ্জা-ভ্যাকসিন উৎপাদন বিশেষ মনোযোগ পেয়েছিল। মহামারী-ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রস্তুতি স্বভাবতই একটি আন্তর্জাতিক বিষয়। মহামারী থেকে কেউ সত্যিকার অর্থে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে না। মহামারীর প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনার ক্ষেত্রে ব্যবসায়ী মহল এখন আর ছোটখাটো ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে দায় সারতে পারে না। মহামারী চলাকালীন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহের জন্য ও উৎপাদন বজায় রাখতে শিল্প প্রধানদের অবশ্যই কাঁচামাল মজুদ করতে হবে। এছাড়া বণ্টন ও পরিবহনের জন্য পূর্ব-পরিকল্পনা করতে হবে। প্রতিটি সংস্থার সিনিয়র ম্যানেজারদের প্রয়োজন তাদের পণ্যগুলির সহজলভ্যতা, উৎপাদন, বিতরণ এবং তালিকা পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তুত থাকা।

 

বি:দ্র: Security world BD তে প্রকাশিত ইংরেজি প্রবন্ধ থেকে বাংলায় অনুবাদ করা। 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘সাহসী হোন সাহস দেখান’, মিটফোর্ডের ঘটনায় খায়রুল বাসারের আহ্বান Jul 12, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত অন্তত ১৭ জন Jul 12, 2025
img
দেশে নতুন করে কাউকে ফ্যাসিবাদী হয়ে উঠতে দেবো না : রিফাত রশিদ Jul 12, 2025
img
ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে বিমানে বোমার হুমকি মায়ের, তাতেও কাজ হলো না Jul 12, 2025
img
আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ক্ষমার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে লিখিত আদেশ প্রকাশ ট্রাইব্যুনালের Jul 12, 2025
img
সারা দেশে আধিপত্য বিস্তারকারীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে: আইজিপি Jul 12, 2025
img
আদর্শিক দ্বন্দ্বে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড.ফয়জুল হক Jul 12, 2025
img
আমার দলের কেউ দখলবাজি-চাঁদাবাজিতে জড়ালে ছাড় দেওয়া হবে না: শামা ওবায়েদ Jul 12, 2025
img
অপরাধী কোন দলের, কোন মাপের নেতা, সেটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয় : র‍্যাব মহাপরিচালক Jul 12, 2025
img
নরসিংদীতে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় ব্যবসায়ীরা Jul 12, 2025
img
ভাইয়ের স্বপ্নপূরণে ইতালির বিশ্বকাপ নায়ক জো বার্নস Jul 12, 2025
img
মুক্তির আগেই সিকুয়েলের ভাবনা: প্রভাসের ‘দ্য রাজা সাব’ নিয়ে হইচই Jul 12, 2025
img
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে কনসার্ট ও ড্রোন শো প্রদর্শিত হবে ঢাবিতে Jul 12, 2025
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আদেশে ছুটিতে পুতুল Jul 12, 2025
তার কাছে বাড়ি গাড়ি চাইতে আসিনি, তাহলে ওগুলো নিয়ে চলে যেতাম : ইশরাত জাহান রিদিকা Jul 12, 2025
img
প্রথম দিনেই একশ কোটির লক্ষ্য ‘ওয়ার ২’-এর Jul 12, 2025
img
ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার: ত্রাণ উপদেষ্টা Jul 12, 2025
img
ভুল তথ্য প্রচার হচ্ছে, অভিনেত্রী হুমাইরার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন ভাই Jul 12, 2025
img
নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো হবে: উপ-প্রেস সচিব Jul 12, 2025
img
টলিউডে পুজার নতুন শুরু, সঙ্গী দুলকার Jul 12, 2025