রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, ড. ইউনূসের কথা আর কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য। প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব বিশ্বজুড়ে। তিনি যথেষ্ট পরিমাণে নন্দিত। কাজের চেয়ে বেশি মানুষ তার বক্তৃতা শুনেছে, তার বই পড়েছে, তার তত্ত্ব নিয়ে চর্চা হয়েছে।
সম্ভবত বাংলাদেশে আর কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম বলা যাবে না যাকে এত সহজে মানুষ আইডেন্টিফাই করতে পারে। যদিও বহু বিখ্যাত মানুষ পৃথিবীজুড়ে আছেন জীবিত এবং মারাও গেছেন রাজনীতিক থেকে শুরু করে অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কথা আর কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য।
জিল্লুর রহমান বলেন, প্রফেসর ইউনূস ভালো বক্তৃতা করেন।
পৃথিবীর মানুষ অর্থ দিয়ে তার বক্তৃতা শোনে। তার সামাজিক ব্যবসা, তার ক্ষুদ্রঋণ, তার তিনশূন্যতত্ত্ব এগুলো বিশ্বজুড়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবায়নটা কি হচ্ছে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। সেটা আমরা খুব একটা দেখতে পাই না।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্রিটিশ-আমেরিকান সাংবাদিক মেহেদি হাসানের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকারের কথা তুলে ধরে জিল্লুর বলেন, মেহেদী তাকে জিজ্ঞেস করেছেন, মানুষ তো ডেমোক্রেসি চায়। মানুষ তো দ্রুত নির্বাচন চায়। মানুষ তো অনেক কিছু নিয়ে হতাশ। তখন উনি বলছিলেন যে মানুষের চাওয়ার কোনো শেষ নেই।
বাংলাদেশের মানুষ সব এখনই চায়।
একজন নাগরিক হিসেবে আমি ওনার এই কথায় খুব আহত বোধ করেছি উল্লেখ করে জিল্লুর রহমান আরো বলেন, আমার বিবেচনায় বাংলাদেশের মানুষের চাওয়া খুবই সীমিত। মানুষ এখানে খেয়ে পরে বাঁচতে পারলেই সন্তুষ্ট থাকে। এখানকার যারা উদ্যোক্তা শ্রেণি আছে, তারা থেকে শুরু করে যে যে কাজ করুক না কেন বাংলাদেশের মানুষ সরকারের দিকে তাকিয়ে থেকে কিছু করে না। সবাই নিজেরটা নিজে করে। বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে যখন মানুষের অধিকার খর্ব হয়, মানুষ খানিকটা নৈরাজ্য দেখে, যখন তার ভোটাধিকার মানবাধিকারের পরিস্থিতি খারাপ হয় তখন মানুষ একটু ফুঁসে ওঠে। কথা বলতে যখন পারে না, এর বাইরে মানুষ তেমন কিছু সরকারের কাছে চায় না। শুধু কিছু নীতি সহায়তা ছাড়া।
এমকে/এসএন