দেশ কোথায় যাচ্ছে : ব্যারিস্টার শামীম হায়দার

দেশ কোথায় যাচ্ছে বলে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পতনের পর গণপরিষদ, সংবিধান, এটা করো, সেটা করো অনেক বিষয় সামনে আসছে। এগুলো তো তখন আন্দোলনে ছিল না। এগুলো পরে এনে একটা জটিল-কুটিল একটা অবস্থা করা হচ্ছে, যেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন।


তৃতীয় মাত্রার একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার শামীম বলেন, ‘একটি ঐক্যমত কমিশন তৈরি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে এর মুখ্য দায়িত্ব জটিলতা সৃষ্টি করা। জটিলতা কমিশন হয়ে যাচ্ছে। এখন যেটা দরকার, বাংলাদেশে একটা কেয়ারটেকার গভমেন্টের প্রভিশন চলে আসতেছে। কেয়ারটেকার সরকারের প্রভিশন আসলে এই সরকার ভোট নিতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে একটা লিগ্যাল জুরিসপ্রুডেনশিয়াল ভ্যালুয়েশন দরকার।’

তিনি বলেন, ‘এই বর্তমান সরকার নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত কিনা, এটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আবার কেয়ারটেকার সরকার ফিরে আসলে বর্তমান সরকারের আন্ডারে ভোটটা বৈধ হবে কিনা, এটাও একটা প্রশ্ন। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিষয়টি ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকার ছিল। যখন কেয়ারটেকার সরকার চলে আসলো তখন আপনাকে ভোটটা কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই করতে হবে। আর কোনো বিকল্প নাই।’

‘আরেকটা হচ্ছে যদিও বিপ্লব পরবর্তী সময় অনেক এক্সেপশন মানা হয়; তবে সংবিধানে কোথাও ছয় মাসের কোনো এক্সেপশন নাই। ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন হতে হবে। এর বাইরে কোনো এক্সেপশন করা হয় নাই।
এটা তো এই সরকারকে বোঝা উচিত ছিল।’

তিনি বলেন, ‘দেশটা সিঙ্গাপুর করতে পারলে, মালয়েশিয়া করতে পারলে, হংকং করতে পারলে আপনি ২০ বছর ক্ষমতায় থাকেন, কোনো অসুবিধা নাই। যখন দেশটাকে আপনি পাকিস্তান করছেন, আফগানিস্তান করছেন, দেশের মানুষ সুখী না, সুশাসন নাই, তখন আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ইলেকশন দেওয়া উচিত ছিল এবং সেটা সবচেয়ে সেফ অ্যান্ড ডিগনিফাইড এক্সিট হতো।’

‘এখন তো এমন একটা জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে, এখান থেকে একটা পিসফুল ট্রানজিশন অলমোস্ট ইমপসিবল হয়ে যাচ্ছে এবং এই অলমোস্ট ইমপসিবল জিনিসটা কিভাবে পসিবল হবে? আমরা অন্তত রাজনীতিবিদরা তার কোনো ওয়ে আউট দেখি না। সেক্ষেত্রে বিএনপির ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। বিএনপিকে দেশটা বাঁচাতে হবে।’

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নিন্দা Oct 14, 2025
img
রূপনগরে আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ Oct 14, 2025
img
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মোদির প্রশংসা করলেন ট্রাম্প! Oct 14, 2025
img
দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দেওয়ার আহ্বান দুদক চেয়ারম্যানের Oct 14, 2025
img
‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ নিয়ে স্মৃতিচারণ নোবেলের Oct 14, 2025
img
কঠিন পরীক্ষা সামনে: মির্জা ফখরুল Oct 14, 2025
img
ব্রাজিলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়লো জাপান Oct 14, 2025
img
সরাসরি ভোটে কমপক্ষে ৫ শতাংশ নারী প্রার্থী বিএনপির মনোনয়ন পাবেন : সেলিমা রহমান Oct 14, 2025
img
অগ্নিদুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক Oct 14, 2025
img
বোলিং বিভাগে উন্নতি রাবেয়া-ফাহিমার, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক মোস্তারি Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষ Oct 14, 2025
img
রাজনীতিবিদ সুরেশ গোপীর পদত্যাগে মুখ খুললেন কঙ্গনা Oct 14, 2025
img
সাড়ে ৫ হাজার টাকার বেতনে চাকরি শুরু করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল Oct 14, 2025
img
সাড়ে ৫ হাজার টাকার বেতনে শুরু করেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান Oct 14, 2025
img
এদেশের মানুষ পিআর সিস্টেম বুঝে না : ভূঁইয়া দিপু Oct 14, 2025
img
রাতে মাজারগেটেই অবস্থান করবেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা Oct 14, 2025
img

ধর্ম অবমাননা

নর্থ সাউথের অপূর্ব ৫ দিনের রিমান্ডে Oct 14, 2025
img
ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরো ৫ জনের, হাসপাতালে ৮৪১ Oct 14, 2025
img
চঞ্চল, সাবিলা ও রাজ একসঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের গল্পে Oct 14, 2025
img
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ডব্লিউএফপির Oct 14, 2025