সারাদেশের সড়ক নির্মাণ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে নারী ঠিকাদার চায় সরকার। নারীদের ঠিকাদারি কাজে যুক্ত করতে এরই মধ্যে ২৫ কোটাপ্রথা চালু করেছে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর। এখন থেকে কোন নারী ঠিকাদার হতে চাইলে বা নারী ঠিকাদার যারা আছেন তারা সড়ক নির্মাণ ও মেরামত কাজে অগ্রাধিকার পাবেন কোটার ভিত্তিতে। কেবল নারী নয়, নারী উদ্যোক্তা, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী সহ ঠিকাদারী কাজে ২৫ ভাগ কোটা সুবিধা পাবে নারীরা।
সড়ক ও রেল খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন রোডস এন্ড রেল রিপোর্টার্স (আরআরআর) -এর কাউকে জনপদ অধিদপ্তরের এক মত বিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।
সেখানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান জানান, সরকার চাচ্ছেন নারী ঠিকাদার। এজন্য নারী ও ক্ষুদ্র নেতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী নারী উদ্যোক্তা মিলিয়ে ২৫ ভাগ কোটা রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, নারী ঠিকাদারদের জন্য আলাদা লিমিট করা হয়েছে। ঠিকাদারি কাজের ক্ষেত্রে ২৫ ভাগ রাখতেই হবে নারীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে। অর্থাৎ ঠিকাদার হিসেবে তারা কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। এটাকে বিশেষায়িত কোটা বলে উল্লেখ করেন প্রধান প্রকৌশলী।
দেশে সড়ক ঠিকাদারের প্রধান কাজ হলো সরকারের বিভিন্ন সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করা। এই কাজগুলো বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হয়। ঠিকাদারকে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হয়। সওজ অধিদপ্তর যখন কোনো প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করে, ঠিকাদার তখন সেই দরপত্রে অংশ নেন। এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন - লাইসেন্স, পূর্ব অভিজ্ঞতা, আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ ইত্যাদি জমা দিতে হয়। এরপর ঠিকাদার যদি সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন, তবে তিনি সওজ অধিদপ্তরের সাথে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিতে কাজের সময়সীমা, বাজেট, কাজের ধরণ এবং অন্যান্য শর্তাবলী বিস্তারিতভাবে উল্লেখ থাকে।
এখন এসব কাজে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। সে লোককে ২৫ ভাগ কোটা প্রথা চালু হলো সড়কে।