বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন মানে কেবল সরকার গঠন বা ক্ষমতা পরিবর্তন নয়, এর অর্থ হলো গণতন্ত্রের পথে ফিরে যাওয়া।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি একই সঙ্গে অভিযোগ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একটি মহল 'মব ভায়োলেন্স'-এর (গণ-সহিংসতা) মাধ্যমে সচেতনভাবে চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চারদিকে হতাশা দেখতে পাই। রায় যখন হচ্ছে, রায়ের গুরুত্ব কমিয়ে দিতে ভিন্ন দিকে দৃষ্টি নিতে কোনো মহল সচেতনতার সঙ্গে চেষ্টা করছে কি না, সেটি ভেবে দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায়কে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে একটি মহল সচেতনভাবে চেষ্টা করছে।’
সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব জানান, তার দল সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং কেউ ভিন্নভাবে উপস্থাপন করলে তা মেনে নেয়া হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সংস্কারের কথা আজ যখন জোরেশোরে বলা হয়, ২০২২ সালেই আমরা আলোচনা শুরু করেছিলাম। ১০ আর ২৭-এর পরে সবশেষে ৩১ দফায় চূড়ান্ত হয়েছে। আজ যদি কেউ দাবি করেন এককভাবে সংস্কার উদ্যোগের কথা, সেটি সংকীর্ণতা ছাড়া কিছুই নয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। আমরা সংস্কারের জন্য কমিটেড। আমাদেরকে ভিন্নভাবে চিত্রিত করতে কেউ যদি চায়, সেটা আমরা মেনে নেব না।’
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গুরুত্ব আরোপ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা অন্যের মত সহ্য করতে পারি না। ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে না চাইলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন মানে সবকিছু নয়। এর অর্থ গণতন্ত্রে ফিরে যাওয়া।’ দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপির দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপির ওপর দায়িত্ব বর্তায় সবসময়ই। নির্বাচন এসেছে, এখন বিএনপির ওপর দায়িত্ব এসেছে গণতান্ত্রিক মোর্চা গড়ে তোলার।’
কেএন/টিএ