এয়ার টিকিট বিক্রি করে অভিনব কায়দায় বিদেশে ১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে সায়মন ওভারসীজ লিমিটেডের কাছে ব্যাখা চেয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।
গত সোমবার প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসফিয়া জান্নাত সালেহর নামে চিঠিটি ইস্যু করে মন্ত্রণালয়। চিঠিটি পাঠিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের পর্যটন-৩ শাখার উপ-সচিব মির্জা মুরাদ হাসান বেগ।
গতকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র দেশের একটি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠি পাঠানোর পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির টিকিট কেলেঙ্কারির বিষয়ে মন্ত্রণালয় তদন্তও শুরু করেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, “সায়মন ওভারসীজ বাংলাদেশের জিডিএস আইডি ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সেসব দেশের ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৮৯৪টি এয়ার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। টিকিটগুলো ব্যবহার করে যাত্রীরা সেসব দেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছেন কিংবা তৃতীয় দেশে ভ্রমণ করেছেন।”
এতে আরও বলা হয়েছে, “যাত্রীরা সেসব দেশের টিকিটের টাকা প্রদান করেছে যা বাংলাদেশে ফেরত আসেনি। এ বিষয়ে আপনার (সায়মন ওভারসীজ) বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ ও আয়াটা থেকে প্রাপ্ত পত্র চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত করা হলো।”
ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সায়মন ওভারসীজকে ৩ কার্যদিবস সময় দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গ্লোবাল ডিস্টিবিউশন সিস্টেমের (জিডিএস) মাধ্যমে ট্রাভেল এজেন্টরা এয়ার টিকিট বিক্রি করে থাকেন। এজন্য নিজস্ব আইডি থাকে। যা বাংলাদেশ থেকেই পরিচালনা করতে হয়। মূলত ওই আইডির মাধ্যমে এয়ার টিকিট বিক্রি করে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসেসিয়েশনের (আয়াটা) মাধ্যমে এয়ারলাইন্সগুলোকে অর্থ পরিশোধ করতে হয়।
এয়ারলাইন্সগুলো এভাবে রেমিটেন্সের মাধ্যমে নিজ দেশে অর্থ নেয়, যার হিসেব রিজার্ভে থাকে। কিন্তু সায়মন ওভারসীজ নিজেদের আইডি বিভিন্ন দেশের ট্রাভেল এজেন্সিকে দিয়েছে। ওই এজেন্সিগুলো থেকে বিদেশে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু সেই বিক্রির টাকা আর দেশে আসছে না। ফলে এগুলো দেশের রিজার্ভেও যুক্ত হচ্ছে না। এভাবেই প্রতিষ্ঠানটি অর্থ পাচার করছে বলে অভিযোগ আসায় তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
টিজে/টিকে