ভারতের ছোটপর্দার জনপ্রিয়তম সঞ্চালক কপিল শর্মা। হাস্যকৌতুক আর নিজস্ব ঢঙের মাধ্যমে তিনি কেবল দর্শকদের মন জয় করেননি, উপার্জনের নিরিখেও ছোটপর্দার প্রায় সব অভিনেতা-অভিনেত্রীকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন। পাঞ্জাব থেকে সামান্য পুঁজি নিয়ে মুম্বাইয়ে আসা এই মানুষটির প্রথম জীবনের আয় ছিল মাত্র ৫০০ টাকা।
সেখান থেকে আজ দেশ-বিদেশে বাড়ি, সিনেমা, ব্যবসা মিলিয়ে তিনি ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক! কপিলের এই অবিশ্বাস্য উত্থানের পেছনের রহস্য কী? ২০০৭ সালে তিনি একটি ‘কমেডি শো’-এর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শুধু বিজয়ীই হননি, পুরস্কার হিসেবে জিতে নেন ১০ লাখ টাকা।
এই জয় রাতারাতি তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়। এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন কমেডি প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি প্রতিটি প্রতিযোগিতাতেই বিজয়ীর মুকুট ছিনিয়ে নেন।
কপিল শর্মার জীবনের মোড় ঘুরে যায় ২০১৩ সাল থেকে। এই সময়ে তিনি হাস্যকৌতুক নির্ভর একটি জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা শুরু করেন। শুধু সঞ্চালনাই নয়, এই শোয়ের সহ-প্রযোজনাতেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তার ব্যক্তিত্ব, রসবোধ এবং উপস্থাপনার ধরন এই অনুষ্ঠানকে এমন উচ্চতায় নিয়ে যায় যে, খুব দ্রুতই তিনি ছোটপর্দার সবচেয়ে দামি তারকা হয়ে ওঠেন।
এই অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্ব সঞ্চালনার জন্য কপিল শর্মা পারিশ্রমিক হিসেবে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা করে নেন! তার জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে, ছোটপর্দার পর ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও তার অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানের জন্য একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে তিনি ১৫০ কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের চুক্তি করেছেন।
ছোটপর্দার গণ্ডি পেরিয়ে কপিল বড়পর্দাতেও সফলভাবে পা রাখেন। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘কিস কিস কো প্যায়ার করুঁ’ ছবিতে তাকে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়, যা দারুণ ব্যবসা করেছিল। এরপর ‘ফিরঙ্গি’, ‘জুইগ্যাটো’ এবং ‘কিস কিস কো প্যায়ার কারুঁ ২’ সহ আরও কয়েকটি ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। সিনেমা থেকেও তার আয়ের বড় একটি অংশ আসে।
ফরচুন ইন্ডিয়া সূত্রে জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবর্ষে কপিল শর্মা ভারতীয় সরকারকে প্রায় ২৬ কোটি টাকা কর দিয়েছেন। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।
এমকে/টিএ