বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে এবার বড় ধরনের কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত সরকার। এখন থেকে ভিসা আবেদনের আগে আবেদনকারীর অন্তত গত পাঁচ বছরের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ও অনলাইন কার্যক্রম যাচাই করা হবে। মূলত মার্কিন ভিসা নীতির আদলে এই নতুন নিয়ম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানা গেছে, এই যাচাই প্রক্রিয়া মূলত ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং প্রবীণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিয়মে ছাড় দেওয়া হতে পারে। দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দিল্লি।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, যারা প্রকাশ্যে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী মন্তব্য, পোস্ট কিংবা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালান, তাদের ভিসা না দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। আগে কেবল বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে এমন যাচাই করা হতো, তবে এখন থেকে এটি নিয়মিত ভিসা প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে কার্যকর করা হবে। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের এক সাবেক রাষ্ট্রদূতও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ভারতবিরোধীদের শনাক্ত করতে এটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
বর্তমানে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পাঁচটি ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের মাধ্যমে ধাপে ধাপে সাধারণ ভিসা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। বিশেষ করে মেডিকেল, শিক্ষা ও জরুরি ভিসার ক্ষেত্রে এই সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই অনেকটা কার্যকর রয়েছে। এই ব্যবস্থা পুরোপুরি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও জনবল বাড়ানোর কাজ চলছে।
এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিলেও কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ভিসার ক্ষেত্রেই এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হবে। ফলে ভারত ভ্রমণে ইচ্ছুক বাংলাদেশি নাগরিকদের এখন থেকে অনলাইনে কোনো মন্তব্য বা পোস্ট করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
এসএস/টিকে