খুলনাঞ্চল দিয়ে আঘাত হেনেছে আম্ফান

বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ইতিমধ্যে আম্ফানের প্রভাবে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ভোলায় ট্রলারডুবে ও গাছ পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সচেতনতামূলক প্রচার চালনার সময় নৌকা উল্টে একজন ও গলাচিপায় গাছের ডাল পড়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । এছাড়া আম্ফানের প্রভাবে ইতিমধ্যে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড় বুধবার বিকাল ৪টা থেকে সাগর উপকূলের পূর্ব দিক খুলনা অঞ্চল দিয়ে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়টি সুন্দরবন ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দিয়ে অতিক্রম করতে শুরু করে।

আবহাওয়া অফিসের উপপরিচালক কাওছার পারভীন বলেন, আমরা ৪টা থেকে ৬টার মধ্যে বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছিলাম। ইতিমধ্যে এটি বাংলাদেশ অতিক্রম করা শুরু করে দিয়েছে। এটি দেশের সুন্দরবন উপকূল দিয়ে ঢুকেছে। এটি অতিক্রম করতে চারঘণ্টা লাগতে পারে।

এদিকে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন-কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা এলাকার সিপিপির দলনেতা শাহ আলম মীর (৫০) ও গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকার পাঁচ বছরের শিশু রাসেদ। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গলাচিপা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বুধবার সন্ধ্যায় নিহত রাসেদ মায়ের সাথে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার সময় গাছের ডাল ভেঙ্গে ওই শিশুটির গায়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহম্মদ শহিদুল্লাহ জানান, বুধবার সকালে কলাপাড়া উপজেলা লোন্দা এলাকায় নৌপথে নৌকা যোগে সর্তকতা মূলক প্রচার চালাচ্ছিল সিপিপির চার সদস্য। এসময় প্রবল বাতাসের বেগে নৌকা উল্টে চার জন নদীতে পড়ে গেলে সাঁতার কেটে তিনজন তীরে আসতে সক্ষম হয়। নিখোঁজ হয় সিপিপির দলনেতা শাহ আলম মীর। পরে বরিশাল থেকে ডুবুরি দল কয়েকদফা অভিযান চালিয়ে বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা দিকে নিখোঁজ শাহ আলমের লাশ উদ্ধার করে।

এছাড়া ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাত ও প্রভাবে রামদাসপুর চ্যানেল ৩০ যাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে চরফ্যাশনের শশিভূষণ এলাকায় গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন ছিদ্দিব ফকির। ট্রলার ডুবিতে নিহত ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম। তার বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মনিরাম এলাকায়। ওই ব্যক্তিসহ ৩০ যাত্রী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে আসেন। তারা লক্ষীপুর জেলার মজুচৌধুরী ঘাট থেকে ট্রলার যোগে ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত উপেক্ষা করে উত্তাল মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে ভোলায় আসে। ওই ট্রলারটি রাজাপুর সুলতানীঘাটের কাছে এলে ডুবে যায়।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: