ফুটপাতে চাঁদাবাজি : রিং রোড কার দখলে?

রাজধানীর ফুটপাত ছাড়াও রাস্তার একটি অংশ হকারদের দখলে থাকে। বিভিন্ন সময় সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশ উচ্ছেদ অভিযান চালালেও কয়েক ঘন্টা কিংবা দু’একদিন পর সেটা আবার দখল হয়ে যায়। অন্যান্য এলাকার মতো রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রিং রোড ও এর ফুটপাত থাকে হকারদের দখলে। ফলে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকা থেকে শ্যামলী যাওয়ার সড়কটি রিং রোড নামে পরিচিত। প্রতিদিন এ সড়কে বিভিন্ন রুটের বাসসহ শত শত যানবাহন চলাচল করে। এর দু’পাশেই বাজার, কমিউনিটি সেন্টার, বিপনী বিতান, স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকাল কিংবা দুপুরের দিকে হকারের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও বিকালের পর থেকে ফুটপাত ও রাস্তার একটি বড় অংশ হকারদের দখলে চলে যায়। এসময়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীদের চলাচল করা দায় হয়ে পড়ে। কিন্তু কেউই এ নিয়ে মুখ খুলতে সাহস করেন না। নিরবেই মেনে নিতে হয় এ যন্ত্রনা।  

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধান চালায় টাইমস ইনভেস্টিগেশন টিম। বিকাল হলেই দেখা যায় এ এলাকার পুরো সড়কই চলে যায় হকারদের দখলে। পথচারী মইন হোসেন বলেন, এই যে ভ্যান গাড়িতে বাজার বসছে ও অন্যান্য দোকান বসছে ফুটপাত দখল করে। এতে চলাচলে মারাত্মক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় পথচারীদের। একজন রিক্সা চালক বলেন, বিকেলের দিকে ভ্যানের মধ্যে দোকান নিয়ে ভরা থাকে। এতে জ্যাম লেগে যায়। রিকশা চালানো যায় না। প্রতিদিন বিকাল তিনটার পর থেকে রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত থাকে। পথচারী শহিদুল হক বলেন, ফুটপাত, রাস্তা দখল করে দোকান বসার কারনে পুরো এলাকার মানুষেরই সমস্যা হয়। এ জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

খাবারের দোকানদার নজরুল ইসলাম কলেন, রিং রোড এলাকায় তিনি বিগত ৫ থেকে ৬ বছর যাবত বিকাল থেকে দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন। তিনি বলেন, তার অনুমতি আছে ব্যবসা করার। কে অনুমতি দিয়েছেন সেটা তিনি বলতে পারেননি। সকালের খাবার বিকালের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। এখানে বাসি খাবার থাকেনা। একজন কাপড়ের দোকানদার বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এ সড়কে ব্যবসা করছেন। বিভিন্ন পক্ষকে চাঁদা দিয়েই তিনি ব্যবসা করেন। লাইনম্যান এসে নিয়ে যায়। কাকে কাকে দেয় সেই টাকা, সেই তথ্য তিনি দিতে রাজী হননি।

ফুটপাতের একজন ব্যবসায়ী বলেন, প্রতিদিন ২০০ টাকা করে চাঁদা দেন তারা। লাইনম্যান এসে সেই টাকা নিয়ে যায়। এ টাকা থেকে মাস্তান, পুলিশসহ অনেকেই ভাগ পেয়ে থাকেন। বেশি কিছু জানা যায় না। জানতে চাইলে দোকানদারি বন্ধ করে দিতে পারে।

ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা ও চাঁদাবাজীর বিস্তারিত জানতে দেখুন টাইমস ইনভেস্টিগেশনের অনুসন্ধানী ভিডিও প্রতিবেদন।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক চার মন্ত্রীসহ ৯ জন Dec 04, 2024
img
নাগরিকদের নিরাপত্তায় অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাল যুক্তরাষ্ট্র Dec 04, 2024
img
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে:প্রধান উপদেষ্টা Dec 04, 2024
img
পালিয়ে যাওয়া ৭০ জঙ্গিসহ ৭০০ বন্দিকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি Dec 04, 2024
img
কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে:সুপ্রিম কোর্ট Dec 04, 2024
img
সাভারে দাফন করা ব্যক্তিটি হারিছ চৌধুরীই ছিল:ডিএনএ রিপোর্ট হাইকোর্টে Dec 04, 2024
img
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় কামরুল ও আমু গ্রেপ্তার Dec 04, 2024
img
ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র Dec 04, 2024
img
চূড়ান্ত হলো ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপের দিনক্ষণ Dec 04, 2024
img
ভারতের উচিত বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা:মাহফুজ আলম Dec 04, 2024