আজ বিশ্ব শিক্ষক দিবস

বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে থাকে দিবসটি। শিক্ষকদের অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে ইউনেসকোর মাধ্যমে সারা বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘শিক্ষকদের দিয়েই শিক্ষার রূপান্তর শুরু।’ ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালন করা হয়।

বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (Education International-EI) ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে ইআই প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়।

দিবসটির পটভূমিতে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী শিক্ষক ইউনিয়নসমূহের ফেডারেশন এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল (ইআই) ও এর ৪০১টি সংগঠন এ দিবসের ব্যাপক স্বীকৃতি অর্জনে ভূমিকা রেখেছে। এ সংগঠন শিক্ষা পেশার অবদানকে তুলে ধরে প্রতিবছর জনসচেতনতা মূলক প্রচার চালায়। এডুকেশন ইন্টারন্যাশনালের মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবসকে সব দেশে স্বীকৃতি এবং উদযাপিত হওয়া উচিত। শিক্ষকদের অধিকার, করণীয় ও মর্যাদা সুরক্ষায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে ১৯৬৬ সালের ৫ অক্টোবর প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ১৪৫টি সুপারিশ গৃহীত হয়। এসব সুপারিশের মধ্যে শিক্ষকদের মৌলিক ও অব্যাহত প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, দায়িত্ব ও অধিকার, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা অন্যতম।

পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উপর্যুক্ত সুপারিশসমূহ অনুমোদন করে। ১৯৯৩ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম অনুষ্ঠানে ৫ অক্টোবর দিনটিকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১৯৯৪ সালে প্রথমবার দিবসটি পালন করা হয়। তবে ১৯৯৫ সাল থেকে বিভিন্ন দেশে শিক্ষকরা মোটা দাগে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উদযাপন শুরু করেন। ইউনেস্কোর অনুমোদনে প্রতিবছর পৃথক প্রতিপাদ্যে তা’ হয়ে আসছে। ইউনেস্কোর মতে, শিক্ষা ও উন্নয়নে শিক্ষকরা বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। মানুষের মধ্যে সচেতনতা, উপলব্ধি সৃষ্টি ও শিক্ষকদের ভূমিকার স্বীকৃতিস্মারক হিসেবে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ। মানবিক বিপর্যয় বা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত হয়েও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিনির্মাণে শিক্ষকরা তাদের ভূমিকা রেখে চলেছে।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি হতে পারে: ট্রাম্প Jul 05, 2025
img
তানজিন তিশার সন্তান আছে দাবি করে ছবি ফাঁস করলেন জাওয়াদ নির্ঝর Jul 05, 2025
img
জুলাই আমাদের রাজনৈতিক ইশতেহার, রাজনৈতিক গন্তব্য: নাহিদ ইসলাম Jul 05, 2025
img
রোনালদোর পরামর্শে নিজেকে নতুনভাবে গড়েছেন ভিনিসিয়ুস Jul 05, 2025
img
এক চড়ের বিনিময়ে সাত চড় খেলেন ভারতীয় পুলিশ কর্মকর্তা Jul 05, 2025
img
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে দিয়ে আরও ৬ জনকে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ Jul 05, 2025
img
সালমান খানের নতুন সিনেমার ফার্স্ট লুকে চমকে উঠলেন ভক্তরা! Jul 05, 2025
img
করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬ Jul 05, 2025
img
আওয়ামী নেতাদের পৈশাচিক দমন-পীড়ন এজিদ বাহিনীর সমতুল্য: তারেক রহমান Jul 05, 2025
img
রাতের মধ্যে দেশের ৭ জেলায় ৬০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস Jul 05, 2025
img
সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক Jul 05, 2025
img
একই দিনে ‘প্রজাপতি ২’ ও 'ধূমকেতু' নিয়ে জোড়া সুখবর দিলেন দেব Jul 05, 2025
img
সাধারণ জনগণের গচ্ছিত অর্থ ফেরত দেয়ার ব্যাপারে সরকার দৃঢ় অঙ্গীকারবদ্ধ : অর্থ উপদেষ্টা Jul 05, 2025
img
সঞ্চয়পত্রের মুনাফা বাড়িয়ে দিলে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখবে না: অর্থ উপদেষ্টা Jul 05, 2025
img
হাসিনার লুটপাটকে থিম করে ‘গণলুটতন্ত্রী’ পোস্টার প্রকাশ Jul 05, 2025
img
ঝোড়ো ফিফটি করে ফিরে গেলেম ইমন Jul 05, 2025
img
দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৯৪ Jul 05, 2025
img
গোয়েন্দা সিরিজ নির্মাণে ফিরছেন ফেরদৌস ওয়াহিদ Jul 05, 2025
img
৫ আগস্টের পর পালিয়ে থাকা আইন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বরখাস্ত Jul 05, 2025
img
খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে : খাদ্য উপদেষ্টা Jul 05, 2025