ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দু’পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটির জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আশরাফুল আলম সোহান আহত হন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ে চলছিল ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের যাচাই-বাছাইয়ের কার্যক্রম। এই যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্য সচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন প্রতিনিধিসহ আরও তিনজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন কমিটিতে। যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষে বেশ কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি ইউএনও’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় বাগ্বিতণ্ডা সৃষ্টি হলে ছাত্র প্রতিনিধিরা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষ থেকে বের যান। চলে যাওয়ার সময় সিঁড়ির নিচে ছাত্র প্রতিনিধি আশিকুল ইসলামের সঙ্গে আরেক প্রতিনিধি আশরাফুল আলম সোহানের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আশরাফুল আলম সোহানকে থাপ্পড় মারেন আশিকুল ইসলাম। এতে অচেতন হয়ে পড়েন তিনি। পরে সোহানকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে ছাত্র প্রতিনিধি জুলকার নাইন সাংবাদিকদের বলেন, “শুরু থেকেই এই আন্দোলনে জড়িত ছিলাম। তাদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন ধরে রেষারেষি চলছে। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে যাচ্ছে আমার নামে। আজ (বুধবার) নতুন যাচাই তালিকা তৈরি এবং কমিটিতে আমার থাকা নিয়ে তাদের সমস্যা থেকে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।”
অভিযুক্ত আশিকুল ইসলাম বলেন, “আমাকে নিয়ে তিন-চার মাস ধরে আজেবাজে মন্তব্য করছে। আজ ইউএনও অফিসে সবার সামনে বলে আমি নাকি আওয়ামী লীগের দালাল। তারপর মনের ক্ষোভে আমি তাকে একটা থাপ্পড় মারি, পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।”
এদিকে, ভুক্তভোগী আশরাফুল আলম সোহান বলেন, “আশিকুল ইসলামের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে বাম সাইডে কানের নিচে দুইটা থাপ্পড় মারে সে। এতে অজ্ঞান হয়ে যাই।”
এ ব্যাপারে মামলা করবেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আগামীকাল চিকিৎসা নিয়ে পরে চিন্তা করব।”
টিএ/