কেশ চর্চায় যষ্টিমধু

দমকা কাশি, গলা খুসখুস সারাতে মুখে যষ্টিমধু রাখেন অনেকে। এই যষ্টিমধু আসলে গাছের মূল। তবে শুধু সর্দিকাশি নয়, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে সমৃদ্ধ এই ভেষজটি হরমোনের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ইদানীং কেশচর্চার নানা রকম প্রসাধনীতেও ব্যবহার করা হয় যষ্টিমধুর নির্যাস।

কেশচর্চা শিল্পীরা বলছেন, যষ্টিমধুতে রয়েছে ‘গ্লাইসারাইজ়িন’ নামক একটি উপাদান, যা মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল উন্নত করতে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল ভাল হলে নতুন চুল গজানোর পক্ষে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও চুলের গোড়া মজবুত হয়। যষ্টিমধু চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে, মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফলে খুশকির বাড়বাড়ন্তও নিয়ন্ত্রণে থাকে

কী ভাবে মাথায় যষ্টিমধু মাখবেন?

প্রথমে যষ্টিমধু গুঁড়ো করে নিন। নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে সেই গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। তেল হালকা গরম করে নিলেও ক্ষতি নেই। মাথায় এই মিশ্রণ মেখে রাখুন আধ ঘণ্টা। তার পর ঈষদুষ্ণ জলে মাথা ধুয়ে ফেলুন।

আবার, সারা রাত যষ্টিমধু জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। জল থেকে যষ্টিমধু ছেঁকে তুলে নিন। শ্যাম্পু করার পর ওই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। আবার স্প্রে বোতলে ভরে মাথার ত্বকে মেখেও রাখতে পারেন। তফাত বুঝতে হলে সপ্তাহে অন্তত পক্ষে ২-৩ দিন ধৈর্য ধরে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
 

Share this news on: