ভারত সরকার যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া। দিল্লি তার বিষদাঁত ঢাকার বুকে বসাতে চায়, কিন্তু সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, ঠোঁট কাটা—শুধু একটি সুযোগের জন্য তারা ওৎপেতে আছে। কায়দা করে বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলতে চায়, কিন্তু সুযোগ পাচ্ছে না। বরং তাদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে আশার তেল ফুরিয়ে যাচ্ছে।
ভারতের অবস্থা এখন সেই প্রেমিকের মতো, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে না পেয়েও তারা ক্ষোভে ফুঁসছে। এখন শুধু বাংলাদেশের ক্ষতি করার ছুতো খুঁজছে। যেমন, হঠাৎ করেই ভারত বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে এবং তা নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ায় জোর প্রচার চলছে।
সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনুস ভারতের উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য (সেভেন সিস্টার্স) নিয়ে মন্তব্য করায় দিল্লি ক্ষুব্ধ। তিনি বলেছিলেন, এই রাজ্যগুলো স্থলবেষ্টিত এবং সমুদ্রে তাদের প্রবেশাধিকার নেই। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশই তাদের জন্য সমুদ্রের দরজা খুলে দিতে পারে। এ কথায় ভারতের গরম ভাতে মুখ পোড়ার অবস্থা। তারা ভাবছে, বাংলাদেশ যদি এর পাল্টা ব্যবস্থা নেয়, তাহলে ভারতের অর্থনীতির কপালে শনির দশা নেমে আসতে পারে।
মোদি সরকার ধর্মীয় উগ্রবাদের হাওয়ায় ক্ষমতায় টিকে আছে, কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র এখন উল্টো ফল দিচ্ছে। বাংলাদেশকে ভাতে মারার চেষ্টা করলেও, বাস্তবে তা ভারতের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তারা নিজের আঙুলে সূচ ফুটিয়ে অন্যের সর্বাঙ্গে ব্যথা পেতে চায়, কিন্তু বুঝতে পারছে না, এভাবে নিজেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এফপি/এস এন