সাকিব আল হাসান একবার বলেছিলেন, ‘মিরপুরে কেউ ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।’ শেরই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সমালোচনায় তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘হরিবল উইকেট।’ স্লো-লো এবং টার্নিং এই পিচ নিয়ে অভিযোগ-অনুযোগের কমতি নেই। সম্প্রতি কথা তুলেছেন লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজও শুনিয়েছেন আক্ষেপের কথা।
টাইগারদের অন্যতম অলরাউন্ডার মিরাজ মনে করেন, মিরপুরের এমন পিচে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলো না দিয়ে ঢাকার বাইরে দেওয়া উচিত। ব্যাখাও দিয়েছেন মিরাজ। তার মতে, এতে টাইগারদের লড়াইয়ের মানসিকতা বাড়বে।
গতকাল শুক্রবার বিএসপিএ অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান শেষে মিরাজ নতুন একটা দাবি তুলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরের চেয়ে আমাদের অন্য যে মাঠ আছে সেগুলোয় খেলতে পারি। এটা আসলে অধিনায়ক-কোচ-টিম ম্যানেজমেন্ট কিভাবে চায়, সেটা তাদের ব্যাপার যে আমরা কী উইকেটে খেলতে চাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। আমার কাছে মনে হয় ট্রু উইকেটে খেলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
দাবির পেছনে যুক্তিও টেনেছেন টাইগার অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপে যেহেতু ভালো উইকেট থাকে, এখানে রান হয় অনেক বেশি। ট্রু উইকেটে খেলতে আমাদের বোলাররাও শিখতে পারবে এবং একই সঙ্গে ব্যাটাররাও অনেক শটস খেলতে পারবে।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টের আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে প্রায় ২০টির মতো টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপ থাকায় কুড়ি কুড়ির ম্যাচের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মিরাজের বিশ্বাস, এসব সিরিজগুলোতে ফল পক্ষে আনতে মিরপুরের স্পিনিং পিচ বাদ দেওয়া উচিত।
মিরাজের চাওয়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতি দেশ থেকেই করে নেওয়ার, ‘সামনে বিশ্বকাপ খেলা আছে তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানে যেহেতু পাঁচটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলব। তারপর আরও কিছু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে বিশ্বকাপের আগে। এই প্রস্তুতিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে গেলে হয়ত অনেক ভালো করতে পারি না। এই সিরিজগুলো খেলে যদি পারফর্ম করতে পারে, ভালো একটা শেইপ তৈরি করতে পারে। তাহলে বিশ্বকাপের আগে ভালো একটা প্রস্তুতি হবে।’
বছর জুড়ে দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য স্পোর্টস পারসন অব দা ইয়ারের স্বীকৃতি পেয়েছেন মিরাজ। ফুটবলার ঋতু পর্ণা চাকমা ও আর্চার সাগর ইসলামকে পেছনে ফেলে টাইগার অলরাউন্ডার জেতেন এই পুরস্কার।
এফপি/এস এন